মানবাধিকার নেতারা আইনের শাসন ও মানবাধিকার নিয়ে কথা বললেও বঙ্গবন্ধু, শিশু রাসেল, সুকান্ত বাবু এবং অন্তঃসত্বা আরজু মনির হত্যাকা- নিয়ে কোন মানবাধিকারের কথা বলেন না। তারা যুদ্ধাপরাধিদের বিচার নিয়ে কথা বলেন। বঙ্গবন্ধুর হত্যাকান্ডের হুকুমদাতাদের যতদিন নির্মূল করতে পারবনা, ততদিন মানবাধিকার সমুন্নত করা যাবেনা। বঙ্গবন্ধুর খুনিরা যারা দম্ভ দেখায়, আইনকে চ্যালেঞ্জ করে তাদেরকে নির্মূল করতে হবে। এটি একটি রাজনৈতিক আন্দোলন। এ আন্দোলনে সকলকে সম্পৃক্ত হতে হবে।


নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী আজ ঢাকায় সদরঘাট টার্মিনাল ভবনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪তম শাহাদতবার্ষিকী উপলক্ষে বিআইডব্লিউটিএ আয়োজিত স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন।

বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমডোর এম মাহবুব উল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ আবদুস সামাদ ।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, রক্তদান কর্মসূচি হলো একটি অনুপ্রেরণা এবং সচেতনতা সৃষ্টি করা। বঙ্গবন্ধু রক্ত দিয়ে আমাদেরকে ঋণী করে গেছেন। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন সোনার বাংলা গঠন করতে পারলে তাঁর ঋণ শোধ এবং শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা দেখানো সম্ভব হবে। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে দেশপ্রেমিক নাগরিক হিসেবে নিজেদের গড়ে তুলতে হবে।

খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ১৫ আগষ্টে শুধু বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্যদের নয়; ঘাতকরা বাংলাদেশকে হত্যা করতে চেয়েছিল। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর খুনি জিয়া মোশতাক গংরা গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের পরিবর্তে ইসলামিক রাষ্ট্র করতে চেয়েছিল। মহান মুক্তিযুদ্ধের স্তম্ভকে সংবিধান থেকে মুছে ফেলতে চেয়েছিল। বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারিদের বিচার যাতে না হয় সেজন্য ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করেছিল। জিয়াউর রহমান ইনডেমনিটি অধ্যাদেশকে পরবর্তিতে আইনে পরিণত করেন। জিয়ার সময় মুক্তিযুদ্ধের চিহ্নিত দালালদের বিচারের জন্য তৈরি করা দালাল আইন বাতিল করা হয়েছিল। খুনিদের রাজনৈতিক ও সামাজিকভাবে প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছিল।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, জিয়াউর রহমান রাজাকার শাহআজিজকে প্রধানমন্ত্রী, কুখ্যাত অপরাধি জয়পুরহাটের আব্দুল আলীমকে মন্ত্রিসভায় স্থান দিয়েছিলেন। চিহ্নিত খুনি রশিদ-ফারুক গংদের বিদেশে বিভিন্ন দূতাবাসে চাকুরি দিয়েছেন। হাজার হাজার সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর কর্মকর্তাদের বিনা বিচারে হত্যা করেছেন। এরই ধারাবাহিকতায় বঙ্গবন্ধুর খুনিরা এরশাদ, খালেদা জিয়ার সময়েও রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠা পায়।
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ইনডেমনিটি আইন বাতিল করে বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিচার কাজ প্রশস্ত করে। সে সময়ে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারিদের নি¤œ আদালতে ফাঁসির আদেশ দিয়েছিল। ২০০১ সালে বিএনপি-জামাত জোট সরকারের সময়ে সে বিচার কার্যক্রম আর আলোর মুখ দেখেনি।
প্রতিমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুসহ ১৫ আগষ্টে ঘাতকের গুলিতে নিহত শহীদদেরকে বিন¤্র শ্রদ্ধায় স্মরণ করেন।
বিআইডব্লিউটিএর সদর দফতর ও ঢাকা নদী বন্দরের ১৫০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারি স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচিতে অংশ নেন। একই সাথে নারায়ণগঞ্জ ও বরিশাল নদী বন্দরে পৃথকভাবে বিআইডব্লিউটিএর কর্মকর্তা ও কর্মচারিরা রক্তদান কর্মসূচিতে অংশ নেন।





০ মন্তব্য

আরও পোস্ট পড়ুন

মতামত দিন