জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের জন্য আশীর্বাদস্বরুপ ছিলেন উল্লেখ করে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেছেন, বাংলাদেশ হঠাৎ করে একদিনেই স্বাধীন হয়নি। বঙ্গবন্ধু ধীরে ধীরে এ জাতিকে মুক্তিযুদ্ধের জন্য ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন। অনেক প্রতিকূলতা, জেল-জুলুম উপেক্ষা করে তিনি এদেশকে স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন। বঙ্গবন্ধু ছিলেন এদেশের জন্য আশীর্বাদস্বরূপ।

তিনি বলেন, একাত্তরের পরাজিত শক্তিই বঙ্গবন্ধুকে ও মুক্তিযুদ্ধকে এদেশের ইতিহাস থেকে মুছে ফেলতে চেয়েছিল। তারাই এদেশের স্বাধীনতা ও জাতির পিতাকে নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করে।

‘আমাদের দেশের স্বার্থে সত্যিকারের ইতিহাস তরুণ প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দিতে হবে এবং তাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ করতে হবে যেন তারা ভুল ইতিহাস শিখে বিভ্রান্ত না হয়।’

শনিবার (২৪ আগস্ট) ঢাকা অফিসার্স ক্লাবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪তম শাহাদাৎ বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস ২০১৯ উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে সবাইকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। এসময় তিনি উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে বঙ্গবন্ধুর জীবনাদর্শ অনুসরণ করার আহ্বান জানান৷

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব সাজ্জাদুল হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম। প্রধান আলোচক হিসেবে অংশ নেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক ও সাবেক মুখ্য সচিব ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী।

এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শাফিউল আলম ও বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশনের চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ সাদিক।





০ মন্তব্য

আরও পোস্ট পড়ুন

মতামত দিন