জঙ্গিবাদে জড়িতদের সংশোধনের বা ডি-রেডিকালাইজেসনে গুরুত্ব দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী, বিপিএম(বার)।
তিনি বলেছেন, ২০১৬ সালের পরে দেশে বেশ কিছু অভিযান হয়েছে। আমরা জঙ্গিদের এনকাউন্টার করেছি, ধ্বংস করেছি বলেই এর সুফল এখন ভোগ করছি। কিন্তু বাইরে থেকে আমরা উগ্রবাদীদের চিহ্নিত করি, মামলা দেই, গ্রেফতার করে জেলখানায় দেই। কিন্তু সেখানে তাদের সংশোধন হচ্ছে না। এ জায়গায় আমাদের কিছু কাজ করতে হবে।
মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) আন্তর্জাতিক কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় ‘উগ্রবাদবিরোধী জাতীয় সম্মেলন-২০১৯’ এর সমাপনী বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় তিনি এগুলো নিয়ে এনজিওগুলোকে কাজ করার আহ্বান জানান।
ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী বলেন, আমি এখানে (সম্মেলনে) এ ধরনের কোনো এনজিও দেখলাম না যারা কারাগারে আসামিদের সংশোধনের বা ডি-রেডিকালাইজেসনে কাজ করে। কারাগারে এ আসামিদের ডি-রেডিকালাইজড করতে আপনাদের প্রোগ্রাম নিতে হবে।
তিনি বলেন, ‘প্রিভেনশন ইজ অলওয়েজ বেটার দ্যান কিওর’। এ লক্ষ্যে জঙ্গিবাদ বিস্তার বন্ধে এন্টিটেররিজম ইউনিট, কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট জনগণের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টিতে কাজ করছে। আপনারা দেখেছেন তারা লিফলেট বিতরণ করছে।
আইজিপি বলেন, যারা জঙ্গিবাদের অভিযোগে কারাগারে যাচ্ছে এবং জামিনে ফিরে আসছে তাদের পুনর্বাসনে পরিকল্পনা করতে হবে। তারা আমাদের সমাজেরই সন্তান। তাদের মূল সমাজে ফিরিয়ে আনার প্রচেষ্টা থাকতে হবে। এছাড়া জঙ্গিবাদ নির্মূলে মোটিভেশনাল কাজটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি বলেন, দেশে এ কাজটি সবচেয়ে বেশি কার্যকরভাবে করে ধর্মীয় নেতারা। তাদের বাণী মানুষ খুব সহজে গ্রহণ করে। আমরা ইতোমধ্যে বিভিন্ন মসজিদের ইমামদের মাদক, জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে প্রচার করতে বলেছি। এর ফলে যাদের জঙ্গিবাদে যাওয়ার ঝুঁকি রয়েছে, তারা ধর্মের সুষ্ঠু ব্যাখ্যা পেয়ে বিপথগামী থেকে বিরত থাকবেন।