বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের উদ্যোগে স্কুল পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের বইপড়া কর্মসূচির পুরস্কার বিতরণ আজ (শুক্রবার) খুলনা প্রাইমারি টিচার্স ট্রেনিং ইন্সটিটিউট (পিটিআই) প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোঃ ফসিউল্লাহ।

অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন খুলনার বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) মোঃ হাবিবুল হক খান, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ডাঃ আব্দুন নূর তুষার, খুলনা প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের উপপরিচালক মেহেরুন নেছা, জেলা শিক্ষা অফিসার খোঃ রুহুল আমীন, গ্রামীণফোনের জেনারেল ম্যানেজার ফারজানা রহমান, পিটিআই’র সুপারিনটেনডেন্ট স্বপন কুমার বিশ^াস ও বিশ^সাহিত্য কেন্দ্রের সাবেক সংগঠন হুমায়ুন কবির ববি প্রমুখ।

অতিথিরা বলেন, আলোকিত মানুষ তৈরিতে বইয়ের কোন বিকল্প নেই। বইপড়ে নিজকে জানতে হবে, বিশ^কে জানতে হবে। তোমরা খুবই সৌভাগ্যবান। কারণ এখন অভিভাবক ও শিক্ষকরা বইপড়ার জন্য প্রতিনিয়ত উৎসাহ দিচ্ছেন শিক্ষার্থীদের। কিন্তু আমাদের সময় এই বই পাওয়াটা এত সহজ ছিলো না। এক্ষেত্রে বিশ^সাহিত্য কেন্দ্র বিভিন্ন স্কুলে বই পৌঁছে দিচ্ছে এটি ভাল উদ্যোগ। বই পড়ে নিজেকে ও দেশকে এগিয়ে নেবে। এই প্রজন্মের শিক্ষার্থীরা হবে উন্নত বাংলাদেশ গড়ার কারিগর। অতিথিরা নতুন প্রজন্মকে বেশি করে বই পড়ায় উৎসাহ দিতে অভিভাবক ও সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহবান জানান।

এই কর্মসূচির আওতায় খুলনা মহানগরের ৪৩টি স্কুলের তিন হাজার তিনশত ৪১ শিক্ষার্থীকে স্বাগত পুরস্কার, শুভেচ্ছা, অভিনন্দন ও সেরাপাঠক এই চারটি ক্যাটাগরিতে পুরস্কার প্রদান করা হয়। প্রথম পর্বে ১৮টি স্কুলের এক হাজার ছয়শত ৩৯ জন শিক্ষার্থী ও দ্বিতীয় পর্বে ২৫টি স্কুলের এক হাজার সাতশত দুই জন শিক্ষার্থী পুরস্কার পেয়েছে। তাদের মধ্যে স্বাগত পুরস্কার পেয়েছে এক হাজার আটশত চার জন, শুভেচ্ছা পুরস্কার পেয়েছে নয়শত ৭৮ জন, অভিনন্দন পুরস্কার পেয়েছে চারশত ৬২ জন এবং সেরাপাঠক পুরস্কার পেয়েছে ৯৭ জন। সেরাপাঠক পুরস্কার বিজয়ী ৯৭ জনের মধ্যে লটারির মাধ্যমে ১০ জনকে প্রদান করা হয় দুই হাজার টাকা সমমূল্যের বইয়ের একটি বিশেষ পুরস্কার। এছাড়াও লটারির মাধ্যমে চার জন অভিভাবককেও একই ধরণের বিশেষ পুরস্কার দেওয়া হয়। প্রতিটি স্কুলের ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা এই বইপড়া কর্মসূচিতে অংশ নেন।

 





০ মন্তব্য

আরও পোস্ট পড়ুন

মতামত দিন