সাতক্ষীরায় প্রথম করোনা আক্রান্ত স্বাস্থ্যকর্মী সুমন করোনা যুদ্ধে জয়ী হয়ে সুস্থ্যতা লাভ করেছেন। দীর্ঘ এক মাস লকডাউনে গৃহবন্দী থেকে চিকিৎসা নিয়ে স্বাস্থ্যকর্মী সুমনের পরপর ১৩ মে ও ১৪ মে দুটো রিপোর্ট করোনা নেগেটিভ এসেছে। বিষয়টি জানতে পেরে সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান পিপিএম (বার) বেলা ১১ টার দিকে শহরের উত্তর কাটিয়া গ্রামে করোনা জয়ী সুমন কে স্বাগত জানাতে যান ফুল ও ঝুড়ি ভর্ত্তি ফল নিয়ে। এসময় পুলিশ সুপারের আগমন দেখে করোনা জয়ী সুমন ও তার পরিবার আবেগে আপ্লুত হন। পুলিশ সুপার করোনা জয়ী সুমনের কাছ থেকে কিভাবে করোনা কে জয় করেছেন তার গৃহবন্দী জীবনের কথা জানান। পরে পুলিশ সুপার করোনা জয়ী সুমনের বাড়ি লক ডাউন মুক্ত ঘোষনা করেন। পুলিশ সুপারের সাথে এসময়
সাতক্ষীরা সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মির্জা সালাহ্উদ্দিন, সাতক্ষীরা থানার ওসি আসাদুজ্জামান, কাটিয়া ফাড়ির ইন্সপেক্টর মিজান উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য গত ২৫ এপ্রিল যশোর হতে শার্শায় কর্মরত মেডিকেল টেকনিশিয়ান মাহমুদুল হাসান সুমনের করোনা পরীক্ষার নমুনা পাঠানো হলে পরের দিন ২৬ এপ্রিল তিনি করোনা আক্রান্ত হিসাবে সনাক্ত হন। তখন মাহমুদুল হাসান উত্তর কাটিয়া, সাতক্ষীরায় তার বাসাতে অবস্থান করায়, সাথে সাথে সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ, উত্তর কাটিয়ায় অবস্থিত তার বাসাটি লকডাউন করে এবং তিনি বিভিন্ন সময় যে সমস্ত ব্যক্তিদের সংস্পর্শে গিয়েছিলেন এবং যারা তার দ্বারা সংক্রমিত হয়ে থাকতে পারে বলে আশঙ্কা করা হয়েছিল, এমন পাঁচটি বাসা ( রাজনগর, লাবসায় অবস্থিত) লকডাউন করা হয়। লকডাউন থাকাকালে সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ উক্ত ব্যক্তিদের নিয়মিত খোঁজখবর রাখে এবং প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করে। করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ মাহমুদুল হাসান সুমনের উত্তর কোরিয়ায় অবস্থিত বাসাসহ তার রাজনগরে অবস্থিত গ্রামের বাসা এবং আরো চারটি বাসা 24/7 নজরদারিতে রাখে।