মাদকের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ পুলিশের নীতি শূন্য সহিষ্ণুতা বলে জানিয়েছেন পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি (মিডিয়া) সোহেল রানা।ইতোমধ্যে এই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেছেন, পুলিশের কোনো সদস্য মাদকের সঙ্গে জড়িত থাকলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সোমবার(২৩ নভেম্বর) এক ভিডিও বার্তায় তিনি এসব কথা বলেন।

এর আগে গতকাল মাদক নেয়ার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ১০ সদস্যকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। জানা যায়, ডোপ টেস্টে এ পর্যন্ত ৬৮ জন পুলিশ সদস্যের মাদক নেয়ার প্রমাণ পাওয়া গেছে। তাদের মধ্যে সাতজন উপপরিদর্শক (এসআই), একজন সার্জেন্ট, পাঁচজন সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই), পাঁচজন নায়েক এবং ৫০ জন কনস্টেবল।

ডোপ টেস্টের ব্যাপারে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এআইজি সোহেল রানা বলেন, ‘সম্মানিত ইন্সপেক্টর জেনারেলের উদ্যোগ, নেতৃত্ব ও নির্দেশনায় পুলিশ হেড কোয়ার্টার্স পাঁচটি মূল লক্ষ্য নির্ধারণ করে বাংলাদেশ পুলিশকে জনবান্ধব করার জন্য কাজ করছে এবং বাংলাদেশ পুলিশের সেবার মানকে বাড়াতে কাজ করছে। পাঁচটি মূল লক্ষ্যের একটি হচ্ছে মাদকের বিরুদ্ধে শূন্য সহিষ্ণুতা। বা পুলিশের কোনো সদস্য যদি মাদকের ব্যবসার সাথে কোনোভাবে জড়িয়ে যান বা মাদকের ব্যবসায় কাউকে সহযোগিতা করেন বা নিজেরা যদি কখনও মাদক গ্রহণ করেন, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এবং এরই ধারাবাহিকতায় পুলিশ হেড কোয়ার্টার্সের নির্দেশনায় মাঠ পর্যায়ের ইউনিটগুলো ইতিমধ্যেই ব্যবস্থা গ্রহণ শুরু করেছে।’

সোহেল রানা বলেন, ‘আমরা পুলিশের যে সকল সদস্যকে সন্দেহ করছি মাদক গ্রহণ করে থাকতে পারেন বা করেছেন, তাদেরকে ড্রোপ টেস্ট করছি এবং প্রমাণ মিললে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করছি। পাশাপাশি মাদকের সঙ্গে যেকোনো প্রকার সম্পৃক্ততার প্রমাণ পেলে পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।’

মাদকের সঙ্গে সম্পৃক্ত কোনো পুলিশ সদস্যকে ছাড় দেয়া হবে না বলে তিনি স্পষ্ট ভাষায় সতর্ক করেন।





০ মন্তব্য

আরও পোস্ট পড়ুন

মতামত দিন