এক প্যাকেট খাবার দিয়েছি, পেয়েছি মিলিয়ন ডলার হাসি। একটু আয়েশ ত্যাগ করেছি, পেয়েছি অফুরন্ত, অপরিমেয় আনন্দ।

একটু সহায়তা দিতে গেছি, পেয়েছি অসীম প্রেরণা। আমাদের উপলব্ধি পরিনত হয়েছে এক বিশ্বাসে। এই বিশ্বাস জন্মেছে যে একেকটি স্বচ্ছল পরিবার নিতে পারি একেকটি অস্বচ্ছল পরিবারের ভার। একটি সংগঠন নিতে পারে একটি এলাকার দায়িত্ব। কোভিডের এই কঠিন দিনে মানবিক সহায়তার হাত বাড়াতে পারি আমরাই। গড়তে পারি ছোট ছোট সুখি পাড়া, মহল্লা।

আজ সকালে এমন শুভ্র অনুভূতি ব্যক্ত করেন পুনাক সভানেত্রী জীশান মীর্জা। তাঁর নেতৃত্বে গড়ে উঠা দূস্থ মানুষকে খাদ্য সহয়তা দেয়ার অব্যাহত কর্মসূচী ছিল গতকালও । রাজারবাগ মিলনায়তনে এক ছিল খাদ্য বিতরণ কর্মসূচি।

পুনাক সভানেত্রী বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন পুলিশকে মানবিক হতে, জনবান্ধব হতে। করোনার এই দু:সময়ে পুলিশ অক্ষরে অক্ষরে প্রতিপালন করেছে সেই নির্দেশ। নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়েছে, মানুষের জীবনকে রক্ষা করতে। প্রায় শ’খানেক পুলিশ সদস্য নিজেদের প্রাণ উৎসর্গ করেছে করোনার সম্মুখ সমরে। নীরবে, নিভৃতে চালিয়ে যাচ্ছে তাদের মানবিক সেবা। এমন কোন সকাল হয় না, যখন পুলিশ থাকেনা রাস্তায়। এমন কোন দুপুর,বিকেল, সন্ধ্যা, রাত নেই যখন পুলিশ বাড়ায় না মানবিক হাত।পুলিশের সহধর্মীনি হয়ে আমরা পিছিয়ে থাকবো কেন?

জীশান মীর্জা বলেন, এই করোনা শুরু হবার পর থেকে পুনাক সদস্যরা পথে নেমেছে। অভাবগ্রস্ত মানুষকে ডেকে নিইনি। তাদের কাছে গিয়ে, তাদের হাতে খাদ্য পৌঁছে দিয়েছি। রমজান মাসে প্রখর রোদে রাস্তায় রাস্তায় দাঁড়িয়েছে আমাদের কর্মীরা। ইফতার সামগ্রী তুলে দিয়েছে তাদের হাতে। চাঁদরাতে হয়েছিল আমাদের এক বিরল অভিজ্ঞতা। রাস্তায় গিয়েছি। দেখেছি কিছু মানুষ ঘুরছে জীবিকার সন্ধানে। তাদের হাতে তুলে দিয়েছি প্যাকেট। আর অমনি যেন চাঁদের হাঁসি ঠিকরে পড়েছে রাতের আঁধার ভেদ করে। মিলিয়ন ডলারের হাসি! সেই আনন্দ, সেই দৃশ্য শুধু অনুভব করা যায়, বর্ণনা করা যায় না, ভোলা যায় না।

পুনাক সভানেত্রী বলেন, করোণা পরিস্থিতি এখনও সাভাবিক হয়নি। জানিনা আর কতদিন চলবে এই অতিমারি। আমরা যদি সবাই পরস্পরের প্রতি হাত বাড়ায়, দুস্থ মানুষের জীবন থেকে কিছুটা হলেও দূর্ভোগ লাঘব হবে।

সভানেত্রী আরও বলেন, পুলিশ পরিবারের মধ্যেও থাকতে পারে অসহায় মানুষ। পুলিশ পরিবারের কোন নারীও হতে পারে নির্যাতনের শিকার। সেই বোবা কান্না, অসহায় আর্তনাদ লাঘবে পুনাক পাশে আছে। সাইবার ভিকটিম, ডমেষ্টিক ভায়োলেন্স এর শিকার হলে পুনাক তার পাশে দাঁড়াবে। ইতোমধ্যেই সক্রিয় হয়েছে পুনাকের আইনি সহায়তা সেল। সেই সেল এর সহযোগিতা গ্রহণের জন্য তিনি পুলিশ পরিবারের নারী সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানান।


পুনাক সভানেত্রী আরও বলেন, সারাদেশের ৬৪ জেলাতেই পুনাকের ডেস্ক বিস্তৃত করতে হবে। যাতে প্রত্যেক ডেস্ক -এ পুনাকের নিজস্ব ডিজাইন, সারাদেশের ঐতিহ্য সমহিমায় ফুটে উঠে। পুনাকের প্রতিটি ষ্টল যেন হয়ে উঠে একখন্ড বাংলাদেশ। ছোট্ট পুনাক যেন হয়ে উঠে একটি বড় ব্রান্ড নেম। সেই নামের সাথে যেন জড়িয়ে থাকে মানবতার ছোঁয়া। সেই লক্ষ্যে সক্রিয় অবদান রাখার জন্য পুনাকের সকল ইউনিটকে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহনের নির্দেশ দেন।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন পুনাকের সমাজ কল্যান সম্পাদিকা, আইনি সহায়তা সেল – এর প্রধান তৌহিদা নূপুর। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন পুনাকের সাংস্কৃতিক সম্পাদিকা মুন্নী খান। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পুনাকের উর্ধতন নেতৃবৃন্দ।





০ মন্তব্য

আরও পোস্ট পড়ুন

মতামত দিন