পাবনায় ব্যাংক ড্রাফটে শুধু ১০০ টাকা জমা দিয়ে ৫৩ জন তরুণ-তরুণী চাকরি পেয়েছেন। হয়েছেন পুলিশের গর্বিত সদস্য। শতভাগ স্বচ্ছতা নিশ্চিত করে শারীরিক যোগ্যতাসম্পন্ন ও মেধাবীদের বেছে নেওয়া হয়।
বৃহস্পতিবার (২৫ নভেম্বর) দুপুরে নিয়োগ বোর্ডের প্রধান পাবনার পুলিশ সুপার মহিবুল ইসলাম খান নবনির্বাচিত পুলিশ সদস্যদের নিয়োগ সম্পন্ন করে তাদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেন।
বিনা টাকায় চাকরি পেয়ে তারা সবাই আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েন। এসব চূড়ান্ত প্রার্থীর অভিভাবকরা কখনো বিশ্বাসই করতে পারেননি তাদের সন্তানদের টাকা ছাড়া পুলিশে চাকরি হবে। কিন্তু সেই ধারণা পাল্টে দিয়েছেন পাবনার পুলিশ সুপার (এসপি) মহিবুল ইসলাম খান।
জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ১৪ নভেম্বর থেকে এখন পর্যন্ত বিভিন্ন পরীক্ষা শেষে জেলার ৫৩ তরুণ-তরুণীকে চাকরি দেওয়া হয়। ব্যাংক ড্রাফটে ১০০ টাকা জমা দিয়ে পুলিশে প্রায় ২১৪০ তরুণ-তরুণী অংশ নেন।
ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল নিয়োগের সব পর্যায় শেষ করে ১১ দিনের বিভিন্ন ধাপের শেষ দিন ছিল গতকাল। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ১১৯ জন পরীক্ষার্থীর মৌখিক পরীক্ষা সম্পন্ন হয় গতকাল রাত ১২টায়। বৃহস্পতিবার দুপুরে পুলিশ লাইনস অডিটরিয়ামে প্রাথমিকভাবে মনোনীত ৪৫ জন পুরুষ ও ৮ জন নারীর নাম ঘোষণা করা হয়।
পাবনার পুলিশ সুপার মহিবুল ইসলাম খান বলেন, চূড়ান্ত প্রার্থীদের অভিভাবকেরা কখনো বিশ্বাসই করতে পারেননি তাদের সন্তানদের বিনা টাকায় পুলিশে চাকরি হবে। শুধু চাকরি নয়, নিয়োগপ্রাপ্তদের সব ধরনের মেডিকেল চেকআপ বিনামূল্যে করার ব্যবস্থা করা হয়েছে। স্বচ্ছতা ও সততার এ বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করে এসব মেধাবীকে পুলিশে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। সবার মধ্যে একটি ভুল ধারণা ছিল যে টাকা ছাড়া পুলিশের চাকরি পাওয়া যায় না। এসব দরিদ্র পরিবারের সদস্যরা চাকরি পাওয়ায় এটার ভুল ধারণা দূর হয়েছে অনেকের।