শেখ আরিফুল ইসলাম আশা:  সাতক্ষীরা শহরে করোনা ঠেকাতে ও  যানজট নিরসন ও জননিরাপত্তায় নিরলস ভাবে কাজ করছে ট্রাফিক পুলিশের টিআই কামরুজ্জামানের নেতৃত্বাধীন টিম।

অবৈধ ব্যাটারি চালিত ইজিবাইক গুলো প্রবেশের অনুমতি না থাকা শর্তেও অবাধে প্রবেশ করছে সাতক্ষীরা শহরের সড়কগুলোতে। তাতে করে একদিকে যেমন বাড়ছে গাড়ির চাপ তেমনি বাড়ছে শহরের সড়কে তীব্র যানজট। আর এই যানজট সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে ট্রাফিক পুলিশ। অন্যদিকে যানজটের কারণে পথচলতি জনসাধারণকে পড়তে হচ্ছে ভিন্ন রকমের সমস্যায়। সব থেকে বেশি সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে রোগী বহনকারী এম্বুলেন্সসহ জরুরি কাজে নিয়জিত যানবাহন গুলোকে। আর এসব সমস্যা সমাধানের জন্য যানজট নিরসনে ও জননিরাপত্তায় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে সাতক্ষীরা জেলা ট্রাফিক পুলিশ।


বুধবার (২৬ জানুয়ারি) সকালে সরজমিনে দেখাযায়, যানজট মুক্ত ও সড়কে জনসাধারণের নিরাপত্তায় সাতক্ষীরা শহরের বিভিন্ন পয়েন্ট বিশেষ অভিযান পরিচালনা করছে ট্রাফিক পুলিশ। অভিযানে বেশকিছু ব্যাটারি চালিত ইজিবাইক, রেজিষ্ট্রেশন বিহীন মটরসাইকেল, ফিটনেস বিহীন গাড়ি গুলোকে মামলা, জরিমানা ও আটক করতে দেখা যায়।


এসময় কথা হয়, সাতক্ষীরার লাবসা বাইপাস সড়কের জিরো পয়েন্টে কর্মরত ট্রাফিক পুলিশের ইন্সপেক্টর শ্যামল কুমার চৌধুরীর সাথে। তিনি বলেন জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান এোর নির্দেশনায় ও জেলা ট্রাফিক ইন্সপেক্টর এডমিন কামরুজ্জামান বকুল এর তত্ত্বাবধানে শহরের যানজট নিরসনে আমরা কাজ করছি। পৌরসভার অনুমতি নেই এমন ইজিবাইক, ট্রাকসহ যানজট সৃষ্টিকারী যানবাহন শহরে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছেনা। তাদেরকে বাইপাস সড়কে যাতায়াত করতে বলা হচ্ছে। পাশাপাশি যেসব আনরেজিষ্ট্রেশন মোটরসাইকেল, ফিটনেস বিহীন গাড়িসহ সকল প্রকার যানবাহনের লাইসেন্স পরিক্ষা করা হচ্ছে। ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন গুলোকে আইন অনুযায়ী মামলা বা আটক করা হচ্ছে।

এসময় লাবসা বাইপাস সড়কের জিরো পয়েন্টে দায়িত্বে থাকা অপর ট্রাফিক ইন্সপেক্টর হাসান মল্লিক জানান, যানজট নিরসনের পাশাপাশি করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় জনসচেতনতায় কাজ করছি আমরা। পথচারীদের মাঝে নিজেদের অর্থে মাস্কও বিতরণ করছি। তিনি সড়কে চলাচলকারী মোটরসাইকেল চালকদের অবশ্যই হেলমেট ব্যাবহার ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সঙ্গে রাখার আহবান জানান।





০ মন্তব্য

আরও পোস্ট পড়ুন

মতামত দিন