সিনিয়র সাংবাদিক শরীফুল্লাহ কায়সার সুমন  : বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ভিত্তি প্রতিষ্ঠার গুরুত্বপূর্ণ কারিগর হলো কৃষকরা।
সেই কৃষকরা বরাবরই থেকেছে অবহেলিত। তাদের উন্নয়নের জন্য বর্তমান সরকার যেমন আন্তরিক তেমনি বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট তথা ব্রি’র সকল কৃষি বিজ্ঞানীরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। মঙ্গলবার সকালে খুলনার পাইকগাছায় ও সাতক্ষীরার বিনেরপোতায় ব্রি উদ্ভাবিত উচ্চ ফলনশীল বোরো ধানের ফসল কর্তন ও মাঠ দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ব্রি’র মহাপরিচালক ড. মো: শাহজাহান কবীর এসব কথা বলেন।
সাতক্ষীরার অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ব্রি সাতক্ষীরা আঞ্চলিক কার্যালয়ের
প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. তাহমিদ হোসেন আনছারী ও পাইকগাছার
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খুলনা অতিরিক্ত
পরিচালক মো: ফজলুল হক।


অনুষ্ঠানে আলোচনা করেন ব্রি’র সিএসও ড. আমিনুল ইসলাম, ড. মো:
মনিরুজ্জামানসহ ব্রি’র আঞ্চলিক কার্যালয়ের কর্মকর্তাবৃন্দ।


ড. তাহমিদ হোসেন আনছারী জানান, ব্রি সাতক্ষীরার ফার্মে কর্তনকৃত এ ধানের
ফলন ১৪% আদ্রতায় ৬.৫৬ টন ইরানী প্রিমিয়াম ধানের জাত অমল-৩ এর বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন এ জাতটি ২০১৭ সালে জাতীয় বীজ বোর্ড কতৃক ছাড়করণ করা হয়। ব্রি উদ্ভাবিত বোরো মৌসুমের মেগা জাত ব্রি ধান২৮ এর মতোই স্বল্প জীবন কাল সম্পন্ন ব্রি ধান ৮১ ১৪০ থেকে ১৪৫ দিন ও জাতে আধুনিক উপশী ধানের সকল বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান। জাতটি উপযুক্ত পরিবেশ ও ব্যবস্থাপনায় সর্বোচ্চ
৮.০০টন ফলন দিতে সক্ষম। ১০০০টি পুষ্ট ধানের ওজন প্রায় ২০.৩০ গ্রাম।
এসব প্রিমিয়াম বৈশিষ্ট্য থাকায় আগামীতে বোরো মৌসুমে ব্রি ধান ২৮ এর
বিকল্প হিসেবে ব্রি ধান ৮১জাতটি অধিক সম্প্রসারিত হবে বলে অনুষ্ঠানে
উপস্থিত বিজ্ঞানীগণ মতামত প্রদান করেন।





০ মন্তব্য

আরও পোস্ট পড়ুন

মতামত দিন