‘নিরাপদ মাছে ভরবো দেশ, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ’ প্রতিপাদ্য নিয়ে আজ (রবিবার) সকালে খুলনা জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহের উদ্বোধন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক।

প্রধান অতিথির বক্তৃতায় সিটি মেয়র বলেন, ‘মাছে ভাতে বাঙালী’ আমাদের দেশের ঐতিহ্যবাহী শ্লোগান ছিলো। সাদা সোনা খ্যাত চিংড়ি মাছ বিদেশে রপ্তানি করে আমরা দেশের জন্য প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা আয় করতাম। কিন্তু এই সেক্টরের সাথে জড়িত কিছু লোকের অতি লোভের কারণে বিদেশে আমাদের সুনাম নষ্ট হয়েছে। চিংড়িতে অপদ্রব্য প্রয়োগের কারণে রপ্তানি হওয়া মাছ অনেকবার দেশে ফেরত এসেছে। মৎস্য সম্পদ রক্ষায় সুন্দরবনের নদী-খালে অবৈধভাবে বিষ দিয়ে মাছ ধরা যে কোন মূল্যে বন্ধ করতে হবে। তিনি আরও বলেন, সরকার ৫৩১ কোটি টাকা ব্যয়ে ৮৬ টি খাল খননের উদ্যোগ নিয়েছে। মৎস্য সপ্তাহ পালনকালে মানুষকে মাছচাষে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। পরিকল্পিতভাবে চিংড়ি মাছ চাষ করতে হবে। চিংড়ির উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য নতুন প্রজাতির ভেনামি চিংড়ির চাষ পরিকল্পনা সফল হবে বলে আশা করা যায়।
খুলনার জেলা প্রশাসক মোঃ মনিরুজ্জামান তালুকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন খুলনা মৎস্য অধিদপ্তরের বিভাগীয় উপপরিচালক মোঃ তোফাজউদ্দীন আহমেদ,

খুলনা জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাহবুব হাসান এবং বাংলাদেশ ফ্রোজেন ফুডস এক্সপোর্টাস এ্যাসোসিয়েশন এর সিনিয়র সহসভাপতি এস হুমায়ুন কবির। স্বাগত জানান জেলা মৎস্য কর্মকর্তা জয়দেব পাল। অনুষ্ঠানে আরো বক্তৃতা করেন খুলনা ফিস্ ফিড শিল্প মালিক সমিতির মহাসচিব এস এম সোহরাব হোসেন, সফল চিংড়ি চাষি প্রফুল্ল কুমার রায় প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে ১৫জন সফল মৎস্যচাষি, চিংড়িচাষি, মৎস্য উদ্যোক্তা ও শ্রেষ্ঠ মৎস্যজীবী সংগঠনের মাঝে সিটি মেয়র সম্মাননা ক্রেস্ট বিতরণ করেন।
এর আগে মেয়র নগরীর শহিদ হাদিস পার্কের পুকুরে মাছের পোনা অবমুক্ত করেন এবং হাদিস পার্ক থেকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় পর্যন্ত বর্ণাঢ্য র‌্যালিতে নেতৃত্ব দেন। র‌্যালিতে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন।





০ মন্তব্য

আরও পোস্ট পড়ুন

মতামত দিন