অধিকাংশ মানুষই ধোঁয়ার কারণে শ্বাসরোধে মারা গিয়েছেন : র‌্যাবের ডিজি

দ্বারা zime
০ মন্তব্য 115 দর্শন

 

বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় অধিকাংশ মানুষ শ্বাসরোধের কারণে মারা গেছেন বলে জানিয়ে র‌্যাব মহাপরিচালক (ডিজি) অতিরিক্ত আইজিপি এম খুরশীদ হোসেন বলেছেন, অধিকাংশ মানুষই ধোঁয়ার কারণে শ্বাসরোধে মারা গিয়েছেন। ভবনটিতে একটি মাত্র সিড়ি ছিল। ২টি লিফট ছিল। ফলে আগুন লাগার পর কেউ নামতে পারেনি। কেউ বলছিলেন উপরে আগুন লেগেছে, কেউ বলেছেন নিচে আগুন লেগেছে। ফলে মানুষ কোনদিকে যাবে তা বুঝতে পারেনি।

শুক্রবার (১ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন এবং শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে আহতদের সঙ্গে সাক্ষাতের পর সাংবাদিকের এসব কথা বলেন তিনি।

র‌্যাব মহাপরিচালক বলেন, নিচতলায় একটা ছোট দোকান ছিল, সেখান থেকে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়েছে। সেখান থেকে আগুন ছড়িয়েছে। এখানে অধিকাংশ যেহেতু রেস্টুরেন্ট ছিল, সেহেতু অনেক গ্যাস সিলিন্ডারও ছিল। সেগুলোতেই আগুন ছড়িয়েছে। প্রাথমিকভাবে তাই ধারণা করা হচ্ছে।

ভবনটিতে অগ্নি নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ভবনটির জরুরি অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা ছিল, তা দিয়ে তারা চেষ্টা করেছে। তবে পরে যখন অনেকগুলো সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়েছে তখন আগুন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে।

এম খুরশীদ হোসেন আরও বলেন, ‘ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। আমাদের যদি মনে হয় এখানে ইনভেস্টিগেশন করা প্রয়োজন, তাহলে আমরা সেটি করবো। আমাদের ইন্টেলিজেন্স উইং এ ব্যাপারে তথ্য সংগ্রহ করছে।

তিনি বলেন, একটি ভবন তৈরির ক্ষেত্রে রাজউকসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান থেকে অনুমোদন নিতে হয়। এর জন্য একটি নির্দিষ্ট নীতিমালা রয়েছে। সরকার দায়িত্ব দিলে আমরা এ বিষয়ে তদন্ত করবো। দায়িত্ব না পেলেও প্রকৃত ঘটনার খোঁজ নিয়ে আমরা ইন্টেলিজেন্স উইংয়ের সহায়তায় একটি রিপোর্ট তৈরি করবো।

উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার রাত ৯টা ৫০ মিনিটে রাজধানীর বেইলি রোডের একটি ভবনে কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টে আগুন লাগার সংবাদ পায় ফায়ার সার্ভিস। এরপর ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিসের ১৩টি ইউনিটের চেষ্টায় রাত ১১টা ৫০ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৪৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ৬ জনের পরিচয় এখনও শনাক্ত করা যায়নি।





০ মন্তব্য

আরও পোস্ট পড়ুন

মতামত দিন