চুয়াডাঙ্গার জীবননগরের সোনালী ব্যাংক উথলি শাখা হতে দুষ্কৃতিকারী কর্তৃক টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন খুলনা রেঞ্জের অতিরিক্ত রেঞ্জ ডিআইজি(ক্রাইম এন্ড অপারেশন) একেএম নাহিদুল ইসলাম,চুয়াডাঙ্গার জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার মো: জাহিদুল ইসলাম।

চুয়াডাঙ্গার জীবননগর থানাধীন উথুলি বাজারে অবস্থিত সোনালী ব্যাংকের উথুলি শাখা থেকে আজ ১৫.১১.২০২০ খ্রিস্টাব্দ তারিখ লাঞ্চের সময় দুপুর অনুমান ০১:০০ ঘটিকা সময় ০৩জন দুস্কৃতিকারী মাথায় হেলমেট, মাস্ক ও পিপিই পরিহিত অবস্থায় খেলনা অস্ত্রের মুখে নিরস্ত্র আনসার সদস্য, ব্যাংক কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জিম্মি করে নগদ প্রায় নয় লক্ষ টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়। মোটরসাইকেল যোগে ব্যাংক থেকে টাকার ব্যাগ নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয়রা তাদের বাধা দিতে গেলে দুস্কৃতিকারীরা তাদের উপর খেলনা পিস্তল তাক করলে স্থানীয়রা প্রাণভয়ে পিছু হটে।

ঘটনার সংবাদ পেয়ে চুয়াডাঙ্গার পুলিশ সুপার মোঃ জাহিদুল ইসলাম চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের সকল ইউনিটকে প্রত্যেকটি লোকাল ও হাইওয়ে রাস্তায় চেকপোস্ট বসিয়ে দুষ্কৃতিকারীদের আটকানোর জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালায়।

এদিকে টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনা শুনে খুলনা থেকে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান খুলনা রেজ্ঞের এডিশনাল ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল এ কে এম নাহিদুল ইসলাম, বিপিএম।

এসময় চুয়াডাঙ্গার জেলা প্রশাসক মোঃ নজরুল ইসলাম সরকার, পুলিশ সুপার মোঃ জাহিদুল ইসলাম সহকারী পুলিশ সুপার (দামুড়হুদা সার্কেল) জনাব মোঃ আবু রাসেল সহ জেলা পুলিশ ও সোনালী ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

ঘটনাস্থল পরিদর্শন কালে অতিরিক্ত ডিআইজি একেএম নাহিদুল ইসলাম বলেন, এটা একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা, ঘটনার সাথে যারা জড়িত আছে অচিরেই তাদেরকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হব ইনশাল্লাহ। পুলিশ সুপার বলেন, ঘটনার সময় আনসার সদস্যরা নিরস্ত্র ছিলো সেই সুযোগ দুস্কৃতিকারীরা কাজে লাগিয়েছে। ব্যাংকে যদি সিসি ক্যামেরা থাকতো তাহলে অপরাধীদের শনাক্ত করা অনেক সহজ হতো।

দুস্কৃতিকারীদের ফেলে যাওয়া খেলনা পিস্তলের অংশবিশেষ, পিপিই উদ্ধার করা হয়েছে। দুষ্কৃতিকারীদের ব্যবহৃত ব্যবহৃত পিস্তল খেলনা ছিল। অপরাধীদের গ্রেপ্তার করার জন্য চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশ তৎপর রয়েছে।





০ মন্তব্য

আরও পোস্ট পড়ুন

মতামত দিন