আশাশুনি উপজেলার খাজরা ইউনিয়নের গদাইপুরে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতার ঘটনায় ইউপি চেয়ারম্যান ডালিম ও পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী অহিদুলসহ তাদের দু’পক্ষের ৬ জনকে আটক করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে ইউপি চেয়ারম্যান শাহনেওয়াজ ডালিমের দায়ের করা মামলায় অহিদুলসহ ৪ জন ও অপর পক্ষের সাবেক চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা রুহুল কুদ্দুছ মোল্যার দায়ের করা পৃথক মামলায় চেয়ারম্যান ডালিমসহ ২জনকে আটক দেখানো হয়। জানাগেছে, বুধবার নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা হওয়ার পর থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত নির্বাচিত চেয়ারম্যান ডালিম এর সমর্থক ও পরাজিত চেয়ারমান প্রার্থী অহিদুলের সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়া, ইটপাটকেল নিক্ষেপ, ভাংচুরসহ একপর্যায়ে বন্দুক দিয়ে গুলি ছোড়ার ঘটনা ঘটে। এতে গুলিবিদ্ধসহ কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়। এঘটনায় থানায় নব-নির্বাচিত চেয়ারম্যান আলহাজ্ব এসএম শাহনেওয়াজ ডালিম বাদী হয়ে মামলা নম্বর ০৪(০৭)২০২২ ও পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থীর অহিদুল ইসলামের পক্ষের সাবেক চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা রুহুল কুদ্দুস মোল্যা বাদী হয়ে পৃথক ০৫(০৭)২০২২ নম্বর মামলা মামলা দায়ের করেন।
পরে সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান পিপিএম-বার এঁর দিক নির্দেশনা মোতাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অপরাধ ও প্রশাসন সজীব খান, এএসপি (দেবহাটা সার্কেল) জামিল আহমেদ এর নেতৃত্বে আশাশুনি থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মাদ গোলাম কবির ও ডিবি (ওসি) ইয়াছিন আলম চৌধুরী, আশাশুনি থানার ওসি (তদন্ত) বিশ্বজিৎ অধিকারীসহ সঙ্গীয় ফোর্সের সহায়তায় পৃথক মামলায় গদাইপুর গ্রামের মৃত মোজাহার আলী সরদারের ছেলে নব-নির্বাচিত নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম-সম্পাদক আলহাজ্ব এসএম শাহনেওয়াজ ডালিম (৪৫) ও তার সমর্থক আনারুল মোল্যার ছেলে মোস্তাকিম মোল্যা (২৭) কে আটক করা হয়। অপর মামলায় একই গ্রামের মৃত নফেল মোল্যার ছেলে আনারস প্রতীকের পরাজিত চোরম্যান প্রার্থী ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি অহিদুল ইসলাম মোল্যা (৫৫), তার সমর্থক একই গ্রামের মৃত আপ্তাব মোল্যার ছেলে সাবেক চেয়ারম্যান রুহুল কুদ্দুস মোল্যা (৫৮), এনামুল সরদারের ছেলে দিদারুল ইসলাম রাব্বি (৩০), নুরুজ্জামানের ছেলে রাসেল হোসেন (৩২) কে আটক করা হয়। আটককৃতদের শুক্রবার বিচারার্থে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।