পাওনা টাকা আদায়ে মামলা করায় দেনাদারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ

দ্বারা Update Satkhira
০ মন্তব্য 482 দর্শন

 

বাবু রাম:- পাওনা টাকা আদায়ে আদালতের দ্বারস্থ হওয়ায় পাওনাদারকে মামলায় ফাঁসিয়ে হয়রানী করার অভিযোগ উঠেছে দেনাদারের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার বড়দল ইউনিয়নের গোয়ালডাঙ্গা গ্রামে।

ওই গ্রামের মৃত ওমর আলী গাজীর ছেলে আব্দুল খালেক গাজী জানান, একই গ্রামের আনিছ গাজী ও তার স্ত্রী সালমা খাতুন আমার কাছ সর্বমোট ১৩ লক্ষ টাকা ধার নেয়। পরে টাকা চাওয়ায় তারা তালবাহানা করতে থাকে। আমি পাওনা টাকা দাবি করে আদালতে মামলা করি।
আব্দুল খালেক আরও জানান, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক, আশাশুনি শাখার অনুকূলে দুটি চেক (যার সঞ্চয়ী হিসাব নং ১৭০৬২, সিরিয়াল নং ০৮১৬৮৪৩৫ এবং সঞ্চয়ী হিসাব নং ১৮৭৯৮, সিরিয়াল নং ৪০৫০২৮১) দিয়ে আমার কাছ থেকে আনিছ গাজী ও তার স্ত্রী সালমা খাতুন মোট ১৩ লক্ষ টাকা গ্রহণ করে। পরবর্তীতে টাকা ফেরত চাইলে তারা টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করে। তখন আমি তাদের প্রদত্ত চেকটি সংশ্লিষ্ট ব্যাংকে জমা দিলে ব্যাংক আমাকে উক্ত হিসাবের অনুকূলে যথেষ্ট পরিমাণ টাকা নেই মর্মে ডিসঅনার সনদ প্রদান করেন। এরপর আমি আমার পাওনা টাকার দাবিতে আদালতে মামলা করি। মামলার পর উক্ত আনিছ গাজী ও তার স্ত্রী সালমা খাতুন আমাকে ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় ফাঁসিয়ে আমার টাকা ফেরত না দেওয়ার উদ্দেশ্যে আদালতে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ এনে মিথ্যা মামলা করে। গোয়ালডাঙ্গা গ্রামের আনিছ গাজীর বাড়ির সামনে আমার মোটরসাইকেলের গ্যারেজ রয়েছে। আমি যাতে গ্যারেজ পরিচালনা করতে না পারি সেজন্য তারা বিভিন্নভাবে ষড়যন্ত্র করছে। তিনি এব্যাপারে সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক ন্যায় বিচার দাবি করেছেন।
এব্যাপারে আনিছ গাজী আগেই জানান, তার স্ত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে গত ২৪-০২-২০২২ তারিখে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে (সংশোধিত-০৩) ৯(৪)(খ)/৩০ তৎসহ দন্ড বিধি ৩৭৯, ৩২৩, ৩০৭ ও ৫০৬নং ধারায় মামলা দায়ের করেন। মামলাটি আদালতের বিচারক আমলে নিয়ে সিআইডি সাতক্ষীরাকে তদন্তপূর্বক আদালতে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন। আব্দুল খালেকের সাথে ১৩ লক্ষ টাকা লেনদেনের ঘটনায় মামলার বিষয়টি তিনি এড়িয়ে যান।





০ মন্তব্য

আরও পোস্ট পড়ুন

মতামত দিন