বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে বাংলাদেশ স্বাধীন হতো না : ডা.আ ফ ম রুহুল হক এমপি

দ্বারা zime
০ মন্তব্য 150 দর্শন

 

সাবেক স্বাস্থ্য মন্ত্রী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য প্রফেসর ডাঃ আ. ফ. ম রুহুল হক এমপি বলেছেন, ডিসেম্বর মাস স্বাধীনতার মাস। বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে এই দেশ স্বাধীন হতো না। আমার এখানে দাড়িয়ে কথা বলতে পারতাম না। আমাদের দেশে এমপি-মন্ত্রী হতে পারবে কিন্তু কেউ মুক্তিযোদ্ধা হতে পারবে না। সেজন্য সব সময় মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান করতে হবে। ৭ডিসেম্বর সাতক্ষীরা মুক্ত দিবস। সেই দিন স্মরণ করে পিকে ইউনিয় ক্লাব মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনার আয়োজন করেছে এজন্য তাদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

তিনি বলেন, সাতক্ষীরাকে উন্নয়ন করতে হলে সকল রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দকে এক হতে হবে। জেলা সেই রূপ এখনও দিতে পারিনি। পিকে ক্লাব তাদের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সবাইকে ঐক্য করেছেন এজন্য তাদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি। জেলার উন্নয়ন করতে হলে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের পাশাপাশি সামাজিক, সাংস্কৃতিক নেতৃবৃন্দকে এগিয়ে আসতে হবে। সকলে মিলে জেলাকে এগিয়ে নিতে হবে।

তিনি আরও বলেন, আমাদের দুভাগ্য যিনি দেশকে স্বাধীন করলেন তাকে এদেশের মানুষ তার দুই কন্যা ছাড়া থাকতে দিলো না। তার কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছে। সাতক্ষীরার খেলোয়াড়রা ক্রিকেট, ফুটবলসহ সকল খেলাধুলায় নৈপূর্ণ দেখাচ্ছে। আমাদের খোলেয়াড় দেশের সুনাম বিশ্বদরবারে নিয়ে গেছে। সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রেও সাতক্ষীরা এগিয়ে আছে।

সাবেক স্বাস্থ্য মন্ত্রী আরও বলেন, জেলার উৎপাদিত ধান, মাছ, কুল, মধু জেলার চাহিদা মিটিয়ে রাপ্তানি করে থাকি। মাছ বিক্রি করে যে টাকা পাই সেটা কম না। তারপরও জেলার উন্নয়ন হচ্ছে না। প্রধানমন্ত্রী যে পর্যটন কেন্দ্রে দিয়ে গিয়েছিলেন সেটা এখনও পুণাঙ্গভাবে চালু করতে পারিনি। প্রধানমন্ত্রী জেলায় মেডিকেল, ম্যাটস্সহ স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়নের জন্য অনেক কিছু দিয়েছেন। তারপরও স্বাস্থ্য ব্যবস্থা অনেক পিছিয়ে আছে।

তিনি আরও বলেন, বিজয়ের মাসে স্বাধীনতার পরাজিত শক্তি আবারও মাথা চাড়া দিয়ে উঠার চেষ্টা করছে। মুক্তিযুদ্ধে শুধু বাঁশ-লাঠি দিয়ে এ জেলাকে স্বাধীন করেছে মুক্তিযোদ্ধরা। যারা বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভেঙেছে তাদেরকে এদেশের মানুষ প্রতিহত করবে। যার জন্ম না হলে বাংলাদেশ স্বাধীন হতো না। তার ভাস্কর্য ভাঙা হচ্ছে এর চেয়ে কষ্টের কিছু হতে পারে না। যারা একাত্তারে বাংলাদেশকে চাইনি। তারা এখন দেশকে পিছনে নিয়ে তারা বঙ্গবন্ধুর মোরালকে ভেঙে দিয়ে বোঝাতে চায় তারা এখন আছে। সকলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এদের প্রতিহত করতে না পারলে দেশকে এগিয়ে নিতে পারবো না।

তিনি আরও বলেন, ৭ ডিসেম্বর সাতক্ষীরা মুক্ত দিবস। এই দিনে বিজয়ের আন্দন না করে জঙ্গিবাদ-মৌলবাদী অপশক্তির বিরুদ্ধে মাঠে নেমে মিছিল-সমাবেশ করতে হচ্ছে। স্বাধীতার পক্ষের মানুষের এর চেয়ে বড় কষ্টের বিষয় কিছু হতে পারে না। সকলে মিলে এই অপশক্তিকে কঠোর হাতে দমন করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, পিকে ইউনিয়ন ক্লাব জেলার ঐতিহ্যবাহীক্লাব। ৮২ বছর জেলার ক্রীড়াঙ্গনে তাদের আলোর দ্রুতি ছড়িয়ে বেড়াচ্ছে। আমি পিকে ক্লাবের আরও সমৃদ্ধি কামনা করছি।

সাতক্ষীরা পি. কে. ইউনিয়ন ক্লাবের ৮২তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী ও ৭ ডিসেম্বর সাতক্ষীরা মুক্ত দিবস উদযাপন উপলক্ষে পি কে ইউনিয়ন ক্লাবের বীর মুক্তিযোদ্ধা ও কৃতি খেলোয়াড় কর্মকর্তাবৃন্দের সম্মাননা প্রদান এবং সাজেক্রেসের নবনির্বাচিত কর্মকর্তাবৃন্দের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

সোমবার সন্ধ্যায় সাতক্ষীরা ষ্টেডিয়াম সংলগ্ন ক্লাবের আয়োজনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। পি কে ইউনিয়ন ক্লাবের সভাপতি ও সাজেক্রীসের নব- নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক বদরুল ইসলাম খানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন সাবেক স্বাস্থ্য মন্ত্রী ও বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডাঃ আ. ফ. ম রুহুল হক এমপি। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন তালা কলারোয়া আসনের সাংসদ সদস্য এড. মুস্তফা লুৎফুল্লাহ, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুনসুর আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলাম, সিআইডি পুলিশ সুপার মো. আনিচুর রহমান, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান বাবু, জেলা জাতীয় পাটির সভাপতি শেখ আজহার হোসেন, সাতক্ষীরা চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি নাসিম ফারুক খান মিঠু, ডাঃ রাশীদ রেজা খান, মশাররফ হোসেন মশু। এসময় আরো বক্তব্য রাখেন জেলা ক্রীড়া সংস্থা সহ-সভাপতি আশরাফুজ্জামান আশু, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাবেক সভাপতি শেখ নিজাম উদ্দিন, পি কে ইউনিয়ন ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোমেন খান চৌধুরী সান্টু। এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান সৈয়দ আমিনুর রহমান বাবু, ৮ নং ওয়াসহ পিকে ক্লাবের সাবেক ও বর্তমান কমিটির নেতৃবৃন্দ।
সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন সাবেক ফিফা রেফারী তৈয়েব হাসান বাবু ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার নির্বাহী সদস্য আ. ন. ম আখতারুজ্জামান মুকুল।

সংবাদ পত্রদূত নেট।





০ মন্তব্য

আরও পোস্ট পড়ুন

মতামত দিন