লকডাউনে মাদক কারবারিদের বিরুদ্ধে র‍্যাবের কঠোর হুঁশিয়ারি

দ্বারা zime
০ মন্তব্য 152 দর্শন

 

কঠোর লকডাউনকে পুঁজি করে যারা মাদক ব্যবসা করছেন তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের হুঁশিয়ারি দিয়েছে র‍্যাব।
রবিবার দুপুরে রাজধানীর উত্তরা সোনারগাঁও জনপথ রোডের যমযম টাওয়ারের সামনে র‍্যাবের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে স্পট ব্রিফিংয়ে এ হুঁশিয়ারি দেন বাহিনীর মুখপাত্র কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।

র‍্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে র‍্যাব জানতে পারে, এই কঠোর লকডাউনকে পুঁজি করে এক শ্রেণির অসাধু মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক চোরাকারবারিরা ট্রাক ও কাভার্ড-ভ্যানে জরুরি পণ্য সেবার আড়ালে মাদক পরিবহন করছে। এই গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে শনিবার চট্রগ্রাম ও রংপুরে জরুরি পণ্যবাহী ট্রাকসহ বিপুল পরিমাণ ইয়ায়া, গাঁজা ও ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয় এবং আটক করা হয় চারজনকে।
মাদক চোরাকারবারিদের হুঁশিয়ারি করে র‍্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘যারা এই কঠোর লকডাউনকে পুঁজি করে মাদক চোরাকারবারি করছে ও মাদক পরিবহন করছে তাদের বিরুদ্ধে র‍্যাব কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। এছাড়াও ট্রাক ড্রাইভার, হেল্পারসহ সংশ্লিষ্ট সকলের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

তিনি বলেন, ‘সরকার কর্তৃক কঠোর বিধিনিষেধের আজ চতুর্থ দিন। সারাদেশে গতকাল পর্যন্ত র‍্যাব সারাদেশে অভিযান পরিচালনা করেছে, টহল জোরদার করা হয়েছে, চেকপোস্ট স্থাপন বেড়েছে। এর প্রেক্ষিতে যারা বিধিনিষেধ অমান্য করেছে এমন প্রায় সাত শতাধিক মানুষকে আইনের আওতায় আনা হয়েছে এবং প্রায় ছয় লক্ষাধিক টাকা জরিমানা করা হয়েছে।’
র‍্যাব মুখপাত্র বলেন, ‘গতকাল আমরা বলেছি, যারা পাড়া-মহল্লাতেও জমায়েত করার চেষ্টা করছে তাদের বিরুদ্ধেও র‍্যাব অভিযান পরিচালনা করবে। কাল থেকেই র‍্যাব পাড়া-মহল্লাতে অভিযান শুরু করে। পাড়া-মহল্লার ভেতরে জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়েছে, মাইকিং করা হয়েছে এবং মাস্ক বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া পাড়া-মহল্লার বিভিন্ন চায়ের দোকানে বসে অনেক লোককে চা খেতে দেখেছি। তাদেরকে অনুরোধ করা হয়েছে বাসায় থাকার জন্য।’
পোশাক শ্রমিক সদস্যদের রাস্তাঘাটে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা আটকে অনেক সময় নাজেহাল করছেন-এমন প্রশ্নের উত্তরে কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, ‘গার্মেন্টসের মালিক ও শ্রমিকদের প্রতি অবশ্যই দৃষ্টি রেখেছি। তারা যেন সঠিকভাবে গার্মেন্টসে যেতে পারেন এবং কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারেন এই ব্যবস্থা আমরা সব সময়ই করছি। চেকপোস্টে সঠিক পরিচয় দিলে এবং গার্মেন্টসের কথা বললে আমরা তাদের ছেড়ে দিচ্ছি। তবে গার্মেন্টস মালিকদের অনুরোধ করবো তারা যেন গার্মেন্টসের কাছাকাছি থেকে গার্মেন্টস পরিচালনা করেন। দূর থেকে যাতায়াত করলে ভোগান্তি হতে পারে।’
এই র‍্যাব কর্মকর্তা বলেন, ‘রোদ-বৃষ্টি উপেক্ষা করেও সরকার কর্তৃক কঠোর লকডাউন বাস্তবায়নে র‍্যাব মাঠে থেকে কাজ করছে। সম্মানিত নাগরিকদের অনুরোধ করব করোনার উদ্ভূত পরিস্থিতি বিবেচনায় আপনারা আমাদের সহযোগিতা করবেন, আপনারা ঘরে থাকবেন এবং জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হবেন না। আর মাদক কারবারিদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই- লকডাউনকে পুঁজি করে মাদক পরিবহন করার চেষ্টা করবেন না।’

তিনি বলেন, ‘দেশব্যাপী চলমান সাত দিনের কঠোর লকডাউনের গতকাল তৃতীয় দিনে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করায় সারা দেশে ২৭৭ জনকে প্রায় দুই লাখ টাকা জরিমানা করেছে র্যা ব। সারা দেশে ৩১টি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে র‍্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা এই অর্থদণ্ড প্রদান করেন।’
প্রসঙ্গত, বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে সারা দেশব্যাপী র‍্যাবের ১৭২টি টহল ও ১৮১টি চেকপোস্ট পরিচালনা করা হয়। বিনা প্রয়োজনে মানুষের চলাচল নিয়ন্ত্রণে জনসচেতনামূলক মাইকিং, লিফলেট বিতরণ ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে উদ্বুদ্ধ করা হয়। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা সরকার কর্তৃক ঘোষিত বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন





০ মন্তব্য

আরও পোস্ট পড়ুন

মতামত দিন