সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চাকরির প্রলোভন ও বন্ধুত্ব করে প্রতারণা : আটক- ৩

দ্বারা zime
০ মন্তব্য 278 দর্শন

 

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চাকরির প্রলোভন ও বন্ধুত্ব করে প্রতারণার মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে তিনজনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) এর গোয়েন্দা লালবাগ বিভাগ। গ্রেফতারকৃতদের নাম- মোঃ কবির হোসেন, মোঃ শামসুল কবীর ও মোঃ ইয়াছিন আলী ।

গত শুক্রবার (১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২১) রাজধানীর কল্যাণপুর এলাকা হতে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাদের হেফাজত হতে বিভিন্ন ব্যাংকের চেক বই-২৫৭ টি, ডেবিট কার্ড-২৩৪ টি, মোবাইল ফোন-৮ টি ও মোবাইল সিম-১১ টি জব্দ করা হয় ।

শনিবার (১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২১) দুপুর ১২:০০টায় ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানান ডিবির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তার, বিপিএম (বার)।

ডিবির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার বলেন, ফেসবুকের মাধ্যমে কানাডায় লোভনীয় চাকরির প্রলোভন দিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে টাকা আত্মসাৎ এর ঘটনায় ভুক্তভোগী এক ভিকটিমের অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২১ তারিখ কদমতলী থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা রুজু হয়। এ মামলার ঘটনায় গোয়েন্দা লালবাগ বিভাগ তিন প্রতারক কবির, শামসুল ও ইয়াছিনদেরকে গ্রেফতার করে।

তিনি বলেন, এই প্রতারক চক্রটি বিভিন্ন গ্রুপে বিভক্ত হয়ে প্রতারণা করে থাকে। এই চক্রের একটি গ্রæপ প্রথমে ভিকটিমের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করে তার সাথে নিবিড় বন্ধুত্ব গড়ে তুলে বা ফেসবুকে বিদেশে চাকরির অফার দিয়ে চাকরি প্রত্যাশীদের সাথে হোয়াটস অ্যাপস্, মেসেঞ্জার এবং ইমেইলে যোগাযোগ করে। চাকুরি প্রত্যাশীদের কাছে বিভিন্ন ফির বাহানায় টাকা জমা দিতে বলে। হোয়াটসঅ্যাপস্ এর মাধ্যমে ব্যাংক এ্যাকাউন্ট নম্বর প্রদান করে। ফেসবুকে বন্ধুত্বের সম্পর্ক গড়ে উপহার পাঠানোর কথা বলে কাস্টমস কর্মকর্তা সেজে ফোন করে। ২য় গ্রুপের কাজ হলো বিভিন্ন নামে ব্যাংক হিসাব খোলা। এসব হিসাবধারীরা কমিশনের বিনিময়ে নিজের বৈধ জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে বিভিন্ন ব্যাংকে হিসাব খুলতে থাকে এবং ঘনঘন বাসা এবং মোবাইল নম্বর পরিবর্তন করে। এই চক্রের ৩য় গ্রুপ এসব ব্যাংক হিসাবধারীদের স্বাক্ষরিত চেকবই এর পাতা, এটিএম কার্ড এবং কার্ডপিন কুরিয়ার এর মাধ্যমে সংগ্রহ করে। ৪র্থ গ্রুপ প্রতিদিন ভিকটিমদের জমাকৃত টাকা চেক বা কার্ড এর মাধ্যমে উত্তোলন করে একজন ম্যানেজার এর হাতে তুলে দেয়। ম্যানেজার এই টাকা তাদের কথিত বস এর হাতে পৌঁছায়। এভাবে সাপ্তাহিক বন্ধ ছাড়া প্রত্যহ ১০ থেকে ১৫ লক্ষ টাকা লেনদেনের তথ্য পাওয়া যায়।

তিনি বলেন, গ্রেফতারকৃত কবীর হোসেন এর কাজ যাবতীয় অর্থ সংগ্রহ করে ম্যানেজার এর হাতে পৌছে দেয়া। কবীর হোসেন এর সহযোগী হিসাবে কাজ করে গ্রেফতারকৃত ইয়াসিন। গ্রেফতারকৃত শামসুল কবীর হলো ব্যাংক হিসাবধারী। এরা সবাই মাসিক বেতনের ভিত্তিতে বিভিন্ন স্তরে কাজ করে এবং তাদের অন্য কোন পেশা নেই বলে প্রাথমিক ভাবে তারা জানায়।

তিনি আরো বলেন, ফেসবুকে অপরিচিত কোনো ব্যক্তির আইডি হতে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট কিংবা কোন লিংক প্রেরণ করলে তা গ্রহণ করা হতে বিরত থাকতে হবে। বিদেশ হতে পার্সেল আসার কথা বলে কাস্টমস কর্মকর্তা সেঁজে কেউ টাকা দাবি করলে এই প্রলোভনে পড়ে টাকা না দেয়ার জন্য অনুরোধ করেন পুলিশের এ কর্মকর্তা।

গ্রেফতারকৃতদেরকে কদমতলী থানায় রুজুকৃত মামলায় বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।





০ মন্তব্য

আরও পোস্ট পড়ুন

মতামত দিন