কেনো চোরাকারবারি রা এসপির উপরে ক্ষিপ্ত : বেরিয়ে এলো আসল রহস্য

দ্বারা zime
০ মন্তব্য 2393 দর্শন

 

প্রিয় পাঠক,আপনারা সকলেই কমবেশি জানেন সাতক্ষীরা জেলায় ২০১৩-১৪ সালে কি ভয়াবহ তাণ্ডব চালিয়েছিলো স্বাধীনতা বিরোধী সেই অপশক্তিরা।আর সে সময় সাতক্ষীরা সদর সার্কেলের দায়িত্বে ছিলেন এএসপি কাজী মনিরুজ্জামান।তিনি সে সময় অশান্ত সাতক্ষীরা কে শান্ত করার জন্য নিজের জীবন বাজি রেখে অপশক্তিদের বিষ দাঁত ভেঙে দিয়েছিলো।অপশক্তিদের আক্রমনে তিনি একবার গুরুতর আহত হয়েছিলেন। সেসব কথা সাতক্ষীরার প্রায় সকলেই জানেন।

আসন্ন জাতীয় নির্বাচন উপলক্ষে ৮ মাস আগে বাংলাদেশের ৬০টি জেলায় একযোগে পুলিশ সুপার পদায়ন করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়।নির্বাচন অবাধ-সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করার লক্ষে যোগ্যতার ভিত্তিতে ২৫ তম বিসিএস এর কাজী মনিরুজ্জামান পিপিএম কে  সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার হিসাবে পদায়িত করে সরকার।

যোগদানের পর থেকে সাতক্ষীরা জেলার আইন-শৃংখলা পরিস্থিতি ব্যাপক পরিবর্ত্তন ঘটেছে। জেলায় মাদকের ব্যবহার কমেছে। মাদক ব্যবসায়ীরা বেশির ভাগ সবাই জেল খানায় মামলা খেয়ে জর্জরিত। জেলায় চুরি, ছিনতাই, ভূমি দখল,ইভটিজিং,কিশোর গ্যাং এর উপদ্রোব এগুলো নেই বল্লেই চলে।সব মিলিয়ে শান্তিপ্রিয়সাতক্ষীরার মানুষ এখন শান্তিতে আছে।

সামনে নির্বাচন উপলক্ষে নাশকতাকারীরা বেশ গোপনে থেকে পরিকল্পনা করছিলো কিভাবে সরকারের পতন ঘটানো যায়।কিন্তু কোন ভাবেই তারা প্রকাশ্যে এসে বিশৃঙ্খলা করার সাহস পাচ্ছিলোনা।

যার ফলে নাশকতাকারীরা সাতক্ষীরার এক শীর্ষ চোরাকারবারি ও সাবেক ছাত্রদল নেতা শফিউল্লাহ মনি কে সেল্টার দিয়ে সাতক্ষীরার জনবান্ধব ও ক্লিন ইমেজধারী পুলিশ সুপার কাজী মনিরুজ্জামান কে সাতক্ষীরা জেলা থেকে বদলি করার জন্য নানা রকম গুজোব ও বানোয়াট অভিযোগ তুলে পুলিশ সুপারের ভাবমূর্তি নষ্ট করার পায়তারা করছে। পুলিশ সুপার জেলায় থাকলে তারা তাদের ইচ্ছামত স্মাগলিং ব্যবসা করতে পারছেনা। যার কারনে পুলিশ সুপার এখন তাদের এক মাত্র কাঁটা।পুলিশ সুপার যদি চোরাকারবারি দের প্রস্তাবে রাজি হতো বা তাদের কাছ থেকে মাসিক বাকরা খেয়ে ম্যানেজ হতো, তাহলে চোরাকারবারিরা পুলিশ সুপার কে ভালো বলতো। পুলিশ সুপার চোরাকারবারি দের প্রচ্ছায় দেন না বলেই  তারা পুলিশ সুপার কে নিয়ে মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন অভিযোগ দাখিল করেছে পুলিশ হেড কোয়াটার্সে।

নির্ভরযোগ্য একটি সুত্র জানায়,সাতক্ষীরার এসপি কে বলদি করতে একটি চোরাকারবারি সিন্ডিকেট শত কোটি টাকা নিয়ে মাঠে নেমেছে।দৈনিক মানব জমিন পত্রিকার সাতক্ষীরা প্রতিনিধি ও সমাজের আলোর সম্পাদক ইয়ারব হোসেন তার ফেইজবুকে শত কোটি টাকার মিশন নিয়ে ইতিমধ্যে স্টাটাস দিয়েছেন।

তাদের একটাই উদ্যেশ্য পুলিশ সুপার কে জেলা থেকে বদলি করতে পারলেই আবার ২০১৩ -১৪ সালের মত পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে পারবে তারা সাতক্ষীরাতে। কয়েক চোরাকারবারি প্রায় বলে থাকেন আমরা দেশব্যাপী গোল্ড স্মাগলিং করে থাকি পুলিশ /প্রশাসন সবাই আমাদের হাতের মুঠোয়।সুতরাং চোরাকারবারি দের মিথ্যা বানোয়াট  অভিযোগে যদি পুলিশ সুপার বদলি হয় তাহলে আর দেশে সততা-ন্যায়নীতি -আদর্শ এসবের কোন দাম থাকবেনা। মানুষ আস্থা হারাবে সরকারের উপর থেকে। তখন চোরাকারবারি রা উল্লাস করবে।

পুলিশ সুপার সাতক্ষীরাতে যোগদানের পর জনবান্ধব আধুনিক সেবামুখী পুলিশিং নিশ্চিতকরণে ও পুলিশ-জনগণ সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য গ্রামে গ্রামে কমিউনিটি পুলিশিং; বিট পুলিশিং কার্যক্রমকে আরো জোরদার করেছেন। প্রতিটি থানায় অনলাইন জিডি, ওয়ান স্টপ সার্ভিস সেন্টার, ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারসহ বিভিন্ন কার্যক্রম সার্বক্ষনিক তদারকি করেন তিনি। জেলা পুলিশের সব সদস্যদের সকল শ্রেণির মানুষের সাথে ভালো ব্যবহার এবং পেশাগত মূল্যবোধে দৃঢ় থাকতে নির্দেশনা প্রদান করেছে পুলিশ সুপার

চলতি বছরের ১৫ মে/২০২৩ খ্রি: তারিখে সাতক্ষীরায় কনস্টেবল নিয়োগে তিনি নজীর বিহীন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। সরকারী খরচ মাত্র ১২৫ টাকা খরচে ৭৬ জন  কে কনস্টেবল পদে মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে চাকুরী দিয়েছেন এই বিচক্ষণ পুলিশ সুপার কাজী মনিরুজ্জামান পিপিএম।

মানবিক পুলিশ সুপার হিসাবে কাজী মনিরুজ্জামান বেশ জেলা বাসীর মন কেড়েছেন। পত্রিকায় জানতে পেরেছে অমুক হসপিটালে রোগী মারা গেছে হসপিটাল কতৃপক্ষ টাকা না দিলে রোগীর স্বজনদের লাস দিচ্ছেনা, এমন খবর জানতে পারা মাত্রই পুলিশ সুপার তার নিজের পকেট থেকে টাকা দিয়ে সেই লাশ বেসরকারি হসপিটাল থেকে ছাড়িয়ে রোগীর পরিবারের কাছে তুলে দিয়েছেন। কোন মেধাবী শিক্ষার্থী টাকার অভাবে ভার্সিটিতে ভত্তি হতে পারছেনা এমন খবর পেলে পুলিশ সুপার সেই মেধাবী শিক্ষার্থীকে তার অফিসে ডেকে আর্থিক সহযোগীতা করেছেন।তীব্র শীতে রাস্তার অসহায় ছিন্নমুল মানুষ কষ্ট পাচ্ছেন, পুলিশ সুপার সাথে সাথে সেসব অসহায় মানুষদের শীতবস্ত্র কিনে দিয়েছেন। পুলিশ সুপারের এমন মানবিক কর্মকান্ড আরো রয়েছে সেগুলো বলে শেষ করা যাবেনা।

শীর্ষ চোরাকারবারি শফিউল্লাহ মনির  বিষয়ে জনতে চাইলে সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার কাজী মনিরুজ্জামান পিপিএম  বলেন, একাধিক মামলার আসামি ও সরকার বিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকা শফিউল্লাহ মনিকে গ্রেপ্তারের জন্য রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। বর্তমানে এসে পলাতক রয়েছে। এসপি মনির আরো বলেন, পালিয়ে থেকেও সে সরকার বিরোধী বিভিন্ন কাজে লিপ্ত রয়েছে । ইতিমধ্যে সে পুলিশের বিরুদ্ধে নানান প্রবাগান্ডা ছড়াচ্ছে। তাকে গ্রেপ্তার করার পর তাদের ষড়যন্ত্রের বিষয়ে বিস্তারিত প্রেস ব্রিফিং করে জানানো হবে জানান পুলিশ সুপার।

 





০ মন্তব্য

আরও পোস্ট পড়ুন

মতামত দিন