জমকালো আয়োজনে আনুষ্ঠানিক সম্প্রচারের উদ্বোধন গ্রিন টেলিভিশন

দ্বারা zime
০ মন্তব্য 213 দর্শন

 

পরীক্ষামূলক সম্প্রচার শেষে জমকালো অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিক সম্প্রচারে পা রাখল দেশের অন্যতম শিল্পপ্রতিষ্ঠান রংধনু গ্রুপের স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেল ‘গ্রিন টেলিভিশন’।

শুক্রবার (১৯ মে) সন্ধ্যায় রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় টেলিভিশনটির পূর্ণাঙ্গ সম্প্রচার অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।তার আগেই সন্ধ্যা ৬টা থেকে আনুষ্ঠানিক সম্প্রচার শুরু করে টেলিভিশন চ্যানেলটি।

উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।

‘তোমার চোখে বিশ্ব দেখি’—এই স্লোগান সামনে রেখে দ্রুত দর্শক জনপ্রিয়তা অর্জন করতে চায় টেলিভিশনটি।

উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন সাবেক সফল আইজিপি ড. বেনজীর আহমেদ বিপিএম-বার ও  গ্রিন টেলিভিশনের পরিচালক ও এফবিসিসিআইয়ের ভাইস প্রেসিডেন্ট আমিন হেলালী ও রংধনু গ্রুপের চেয়ারম্যান আলহাজ রফিকুল ইসলাম।

তিনি প্রধান অতিথি, উদ্বোধক ও অন্য অতিথিদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। এ সময় তিনি বলেন, গ্রিন টেলিভিশন মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে থেকে কাজ করবে। ব্যবসায়ী, বিজ্ঞাপনদাতাসহ অন্যদের সহযোগিতা চান তিনি।

এ ছাড়া বিদেশে অবস্থান করায় টেলিভিশনটির চেয়ারম্যান গোলাম দস্তগীর নিশাত চৌধুরীর পক্ষে একটি বক্তব্য পাঠ করেন অনুষ্ঠানের উপস্থাপিকা।

পরে গ্রিন টিভির লোগো উন্মোচন করা হয় এবং কেক কাটা হয়।

উদ্বোধকের বক্তব্যে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ নতুন টেলিভিশনের যাত্রা শুরু করতে যাওয়ায় গ্রিন টেলিভিশন পরিবারকে অভিনন্দন জানান।

তিনি বলেন, ‘দেশে বেসরকারি টেলিভিশনের যাত্রা শুরু হয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে। দেশে তার হাতেই বেশি টেলিভিশন যাত্রা করেছে। ১৯৯৬ সালে প্রথম ক্ষমতায় এসে তিনি বেসরকারি টেলিভিশনের লাইসেন্স দেন।’

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘২০০৯ সালে ১০টি ছিল, আজ গ্রিন টিভির মাধ্যমে ৩৯টি সম্প্রচারে গেল। দেশে ৪৭টি টেলিভিশনের লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে। আরও সামনে আসবে।’

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা মনে করি, গণমাধ্যমের বিকাশের সঙ্গে রাষ্ট্রের বিকাশ জড়িত। গণমাধ্যমের বিকাশ হলে দেশের বিকাশ হয়।’

তিনি বলেন, ‘আমরা কথায় কথায় গণমাধ্যমের স্বাধীনতার কথা বলি। পাশের দেশ ভারতে দেখেন, সেখানে বিবিসির অফিসে তিন দিন ধরে তল্লাশি হয়েছে। মালয়েশিয়ার সব ফিড একটা লিঙ্কে আসে তারপর সেখানে আপলিঙ্ক হয়। সিঙ্গাপুরে মাত্র চারটি টেলিভিশন আছে, যার সবগুলো রাষ্ট্রীয়। অথচ বাংলাদেশের গণমাধ্যমগুলো স্বাধীনভাবে তাদের কনটেন্ট প্রচার করে। যা স্বাধীন গণমাধ্যমের অন্যতম উদাহরণ।’

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘গ্রিন টেলিভিশন মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করে সাদাকে সাদা, কালোকে কালো বলবে। দেশের উন্নয়ন তুলে ধরবে। দায়িত্বশীলদের অপারগতা তুলে ধরবে, সেটাও আমরা চাই। তবে সেটা অবশ্যই হতে হবে দায়িত্বশীলতা থেকে। আমরা গ্রিন টেলিভিশনের সবাইকে শুভেচ্ছা জানাই।’

পরে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।





০ মন্তব্য

আরও পোস্ট পড়ুন

মতামত দিন