জনতার সহযোগিতায় শান্তিময় সম্প্রীতির সমাজ গড়তে করতে চাই : সাতক্ষীরার এসপি মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম

দ্বারা zime
০ মন্তব্য 57 দর্শন

 

সাতক্ষীরায় নবনিযুক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম বলেছেন, জনতার সহযোগিতায় শান্তিময় সম্প্রীতির সমাজ গড়তে করতে চাই। এটা আমাদের একটি লক্ষ্য উদ্দেশ্য। বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে সনাতন ধর্মাবলম্বী নেতৃবৃন্দের সাথে আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ক মতবিনিময় সভায় সভাপতির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।

সভায় সনাতন ধর্মাবলম্বী নেতৃবৃন্দদের উপস্থিতিতে আসন্ন শারদীয় দুর্গা উৎসবকে শান্তিপূর্ণভাবে উদযাপন করা, আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ক ও পুলিশী কার্যক্রমকে আরও গতিশীল করাসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।

সাতক্ষীরার সব সমস্যা সমাধানের চেষ্টার আশ্বাস দিয়ে পুলিশ সুপার বলেন, আপনারা দাবি করছেন পুলিশকে সক্রিয় হবার। পুলিশকে সক্রিয় করতে হলে সকলের সহযোগিতার মাধ্যমে থানা পর্যায়ে এগিয়ে আসতে হবে। আমরাও ওসিদের কে বলে দিয়েছি সেখানে জনপ্রতিনিধি যারা রয়েছেন, যারা প্রশাসন রয়েছেন, গণ্যমান্য ব্যক্তি যারা রয়েছেন বা রাজনৈতিক ব্যক্তি যারা রয়েছেন তাদেরকে নিয়ে কথা বলবেন। কারা সমস্যা তৈরি করছে প্রবলেম ক্রিয়েটর কারা তাদেরকে সনাক্ত করেন। আর আপনাদের সহযোগিতা যদি প্রত্যেকটি জায়গায় থাকে তাহলে সব কিছু সহজ হবে।

তিনি আরও বলেন, প্রথমত ৫ আগস্টের বিষয় বলতেই হয়, অনেকেই বলেছেন ৭১ সালেও ৫আগস্টের মতো এমন ঘটনা তৈরি হয়নি। কেন হয়েছে কিভাবে হয়েছে বিভিন্ন প্রেক্ষাপট হয়েছে এর বর্ণনা আমি বলবো না। এখন পরিবর্তিত প্রেক্ষাপট হয়েছে এই পরিস্থিতিতে আমরা কিভাবে মোকাবেলা করব-এটিই আমাদের আলোচ্য বিষয়। ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, নিহত হয়েছেন তার জন্য আমরা সকলেই মর্মাহত। এখন আমাদের করণীয় আছে যে, এই রকম পরিস্থিতি যেন আর সৃষ্টি না হয়। এজন্য পুলিশকে সক্রিয় হতে হবে।

মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম বলেন, আমি আপনাদেরকে আহবান জানিয়েছি, আপনারা আমার আহবানে সাড়া দিয়েছেন। আমি আপনাদেরকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই। আপনাদের সহযোগিতার মাধ্যমে আমি সাতক্ষীরাতে ভালো জনবান্ধব পুলিশিং মাস্টার পুলিশিং এবং নিরাপদ সাতক্ষীরা গঠন করতে চাই। সাতক্ষীরা একটি ঐতিহ্যবাহী জেলা। এখানে রয়েছে সুন্দরবনসহ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যের সমাহার।

নিরাপত্তার বিষয়ে তিনি বলেন, আপনারাও আমাদেরকে সহযোগিতা করবেন। আমরা সর্বোচ্চ সংখ্যক পুলিশ মোতায়ন করবো। আপনারাও স্বেচ্ছাসেবক সংখ্যা বাড়াবেন। পাশাপাশি আনসার, গ্রাম পুলিশ মোতায়ন করা হবে এবং স্বেচ্ছাসেবক দল যেটি আপনাদের তৈরি করতে হবে। এমনকি যদি আপনাদের বিশ্বস্ত ছাত্রদের নির্দিষ্ট ড্রেস দিয়ে নামানো যায়, তাহলে কিন্তু কাজটি সহজ হবে। এত জটিল হবে না, এত আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এত আতঙ্কিত হওয়ার কোন কারণ আছে বলে আমি মনে করছি না।

তিনি আরও বলেন, আমরা পুলিশের পক্ষ থেকে আপনাদেরকে আশ্বস্ত করতে চাই, সামনে যে দুর্গা উৎসব রয়েছে। সেটি শঙ্কামুক্ত হবে, নির্বিঘ্ন হবে। আমরা পুলিশের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করবো। সেই সাথে আপনাদের সাহায্য-সহযোগিতা আমরা চাইবো।

মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মো. সজিব খান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্) মো. আমিনুর রহমান, ডি আইও-১ ইয়াসিন আলম ও সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রফিকুল ইসলামসহ পুলিশ কর্মকর্তা ও সনাতন ধর্মাবলম্বী নেতৃবৃন্দ।
পুলিশ সুপার আরও বলেন, পুলিশ জনগণের বন্ধু, সাতক্ষীরার মানুষ শান্তি প্রিয়। আমি আশা করি কোন অপ্রীতিকর ঘটনা বা আইন-শৃঙ্খলা বিঘিœত হয় এমন কাজে কেউ লিপ্ত থাকবে না। যার যার ধর্ম সে সে পালন করবে। পুলিশ জনগণের বন্ধু হয়ে কাজ করবে, কাজের মাধ্যমে পুলিশ সেটাই প্রমাণ করবে। তবে আপনারা কেউ আইন হাতে তুলে নেবেন না। আজান ও নামাজ সময় মাইক বন্ধ করে রাখবেন, যদি কোন বিষয় বলার বা অভিযোগ থাকে সরাসরি আমার সাথে বলবেন। আমি বিষয়টা দেখবো। সভায় বক্তব্য রাখেন আশাশুনি উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক এড. কৃষ্ণপদ মন্ডল, তালা উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি মৃনাল কান্তি রায়, দেবহাটা পূজা উদযাপন কমিটির সহ-সভাপতি অজয় কুমার, জেলা পূজা উদযাপন কমিটির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক অসীম কুমার দাস, সাতক্ষীরা সদর উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক রঘুজিৎ কুমার গুহ প্রমূখ।





০ মন্তব্য

আরও পোস্ট পড়ুন

মতামত দিন