♠♠♠♠♠
একজন সৎ,নির্বিক,ধার্মিক পুলিশের ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল জনাব আব্দুল্লাহ আল মামুন কে নিয়ে লেখাটি পড়ে যে কেউ অবাক হতে পারেন। কিন্তু ‘বিস্ময় জাগ্রত হলেও সত্য এমন ‘উপমা’ তাঁর নামের পাশে যৌক্তিক এবং মানানসই বটে! পুলিশে ২৯ বছরের চাকরি জীবনে উচ্চ পর্যায়ে লাভজনক পদে থেকেও রাজধানী ঢাকায় কোন ফ্ল্যাট বা বাড়ির মালিক হতে পারেননি ডিআইজি আব্দুল্লাহ আল মামুন। জীর্ণতার ছাপ মুছতে পারেননি সুনামগঞ্জের শাল্লা থানার শ্রীহাইল গ্রামের বসতভিটারও।
অন্য সাধারণ শিক্ষার্থীর মতোই তাঁর সন্তান ও ব্যাচে গিয়ে প্রাইভেট পড়ে। সাধরন মানুষের মত চলাফেরা বটে।সৎ, নির্বিক, ধার্মিক ও নিষ্ঠাবান পুলিশ কর্মকর্তা হিসেবে গোটা বাহিনীতেই রয়েছে আব্দুল্লাহ আল মামুনের ব্যাপক সুনাম। তিনিই পুলিশবাহীনির আইকন চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি। দেশপ্রেমিক পুলিশ বাহিনীতে তাকে ধরা হয় সৎ,নির্বিক, ধার্মিক পুলিশ কর্মকর্তার অনন্য এক পুলিশ হিসেবে।
বিপুল পরিমান টাকার পেছনে না ছুটে বিপরীত স্রোতে নিজেকে ভাসিয়েছেন ডিআইজি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন। পুলিশের প্রতি জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস ফিরিয়ে আনতে নীতির প্রশ্নে তিনি অনন্ত উদাহরন। কাজ করছেন নিরবিচ্ছিন্নভাবে।ময়মনসিংহবাসীর কাছে ও ছিলেন অতুলনীয় এই কর্মকতা।
পুলিশের ১৯৮৬ ব্যাচের নিভৃতচারী এ কর্মকর্তা সততার এমন দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পেরেছেন মূলত বাবা’র অনুপ্রেরণায়। কথাপোকথন কালেই সেই অনুপ্রেরণার কথাই বলছিলেন দৈনিক সন্ধাবাণী কে। শৈশবে আমার বাবা আমাকে একটি কথা প্রায়ই বলতেন, তার একটি কথাই ছিল আমার সন্তান কখনো টাকার পেছনে ছুটবে না।সত্যের পথে থেকে তোমাকে অনেক বড় হতে হবে।বাবার আদর্শকে
বুকে চেপে আজকের এই ডিআইজি আব্দুল্লাহ আল মামুন।
পুলিশে চাকরির সময়ে সব সময় বাবার দেয়া শিক্ষাটাই স্মরণ করেছি। বাকী জীবনটাতেও বাবার এ শিক্ষাকে মাথায় রেখেই এগুতে চাই। আমার নিজের সন্তানদেরও সেইভাবে মানুষ করতে চাই’।সৎ, নির্বিক ধার্মিক বিনয়ী এ পুলিশ কর্মকর্তার কন্ঠে উচ্চারণ এমনই।
ডিআইজি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন দীর্ঘদিন যাবত গুছিয়ে নিয়েছিলেন পুলিশের ময়মনসিংহ রেঞ্জ। ২০১৫ সালের ২৮ ডিসেম্বর তাকে ময়মনসিংহ বিভাগের প্রথম রেঞ্জ ডিআইজি হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়। ২০১৬ সালের ১৪ মার্চ তিনি ময়মনসিংহ ১ম রেঞ্জ পুলিশের ডিআইজি হিসেবে যোগদান করেন।
ময়মনসিংহ বিভাগের দায়িত্ব পালনকালে জঙ্গী মাদক জুয়া ও হাউজিমুক্ত ময়মনসিংহ গড়ে জনসমুখে প্রসংশা কুলড়ান ডিআইজি আব্দুল্লাহ আল মামুন, পাশাপাশি ময়মনসিংহে পুলিশ বাহিনীর কাছেও তিনি ছিলেন সততার আরেক নাম। সুশীল সমাজের কাছেও ছিলেন এক অনন্য ভালোবাসা ও সততার প্রতীক।যা ময়মনসিংহ বাসীর কাছে প্রসংশা কুড়ান তিনি। তাঁর সময়ে অপরাধ চিত্র বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, সব ধরনের অপরাধ নেমে এসেছিল অর্ধেকের ও বেশি। পরে সফলতার অসংখ্য নজির স্থাপন করে পুলিশ হেডকোয়াটার্সে ডিআইজি অ্যাডমিন হিসেবে বদলী করা হয়।
বিভিন্ন কাজের মাধ্যমেই জনগণের আস্থা ও ভালবাসা পাওয়া সম্ভব বলে মনে করেন উদ্যম, পরিশ্রম আর মেধার সমীকরণে পুলিশ প্রশাসনের ভাবমূর্তি বিনির্মাণে নীরবে কাজ করে যাওয়া ডিআইজি আব্দুল্লাহ আল মামুন। ‘তিনি বলেন, পুলিশ জনতা জনতাই পুলিশ, পুলিশ মানুষের আস্থা ও ভালোবাসা পায় মানুষের মন থেকে। এবং তা অসম্ভব নয়। সেটি সম্ভব শুধু কাজের সফলতার মাধ্যমে। দায়িত্ব পালনে পেশাদারিত্বের গুনে একজন পুলিশ কর্মকর্তা মানুষের মনে ভালোবাসার স্থান করে নেন।’
পুলিশের শতকরা ৮০ ভাগ সদস্য পয়সা খান না এমনটি উল্লেখ করে ডিআইজি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘আমাদের পুলিশ সার্ভিসে অসংখ্য ভাল লোক আছে। যারা পয়সা খায় না। আবার শতকরা ৮০ ভাগ পুলিশ সদস্যের পয়সা খাওয়ার কোন সুযোগই নেই। কিন্তু এসব বিষয় আলোড়ন হয় না’ আক্ষেপ করে বলেন কর্মক্ষেত্রে দক্ষতার জন্য রাষ্ট্রপতি পুলিশ পদকে ভূষিত এ কর্মকর্তা।
বলতে থাকেন ‘পুলিশ মানেই খারাপ নয়। মানুষ বিপদে পড়লে পুলিশের কাছে আসে। তারা শুধু চান একটু ভাল ব্যবহার আর কাঙ্খিত সেবা ও নিরাপত্তা। সেই সেবাটুকু নিশ্চিত করতে পারলেই তারা অনেক খুশি। আমার চাকরি জীবনে সমাজ ও সাধারণ মানুষের চাহিদাকেই সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছি বলেও জানায় ডিআজি আব্দুল্লাহ আল মামুন।
সংগৃহীত: অপরাধ অনুসন্ধান ডটকম।