যাত্রি সাধারণের দুর্ভোগ লাঘবে বুড়িগঙ্গা নদী পারাপারে সদরঘাট ও কেরানিগঞ্জের মধ্যে শীঘ্রই চারটি ওয়াটার বাস চলাচল করবে।
আজ নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্পোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) উন্নয়ন, আর্থিক ও প্রশাসনিক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়।
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন।
বৈঠকে অন্যান্যের মধ্যে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ আবদুস সামাদ এবং বিআইডব্লিউটিসি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে বিআইডব্লিউটিসি’র সকল যাত্রিবাহি জাহাজ ও ফেরি সার্ভিসে যাত্রি সেবার মান বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়। সংস্থার স্থাবর সম্পত্তির যথাযথ ব্যবহারের ক্ষেত্রে আরো বেশি সচেতন থাকার নির্দেশ দেয়া হয়।
বৈঠকে জানানো হয় যে, বিআইডব্লিউটিসি’র চারটি কন্টেইনার জাহাজ এম.ভি উদয়ন, এম.ভি উদ্দীপন, এম.ভি উত্তরণ এবং এম.ভি উন্নয়ন এক্সপ্রেস নভেম্বর ২০১৮ থেকে ৩১ আগস্ট ২০১৯ পর্যন্ত আটমাসে সাড়ে চার কোটি টাকা আয় করেছে। উক্ত সময়ে জাহাজগুলোর অপারেশনাল ব্যয় হয়েছে দু’ কোটি ৪০ লাখ টাকা। জাহাজ চারটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ১৫১ কোটি টাকা। কন্টেইনার জাহাজগুলোর নিয়মিত সার্ভিস পরিচালনার মাধ্যমে আয় বৃদ্ধির ওপর বৈঠকে গুরুত্বারোপ করা হয়।
বৈঠকে জানানো হয় যে, বিআইডব্লিউটিসি ২০১৩ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০১৯ এর আগস্ট পর্যন্ত ছয়টি ফেরিরুটে ওয়েব্রীজ স্কেল (ওজন মাপার স্কেল) থেকে ৯৭ কোটি টাকা এবং রেকার থেকে ২০১৯ এর আগস্ট মাসে এক কোটি টাকা আয় করেছে। বিআইডব্লিউটিসি ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ১০টি ফেরি রুটে ৩০,৪৮,৬২৯টি বাস, ট্রাক এবং হালকা যানবাহন পারাপার করেছে। বর্তমানে ৪৫টি ফেরি চালু রয়েছে। আরো ১২টি ফেরি সংগ্রহ এবং ১৯টি নতুন ফেরিরুট সমীক্ষার কাজ চলমান রয়েছে।
উল্লেখ্য, বিআইডব্লিউটিসি’র ১২টি ওয়াটার বাস রয়েছে। এর মধ্যে বুড়িগঙ্গা নদীতে পর্যটন কাজে ব্যবহারের জন্য একটি ওয়াটার বাস একটি প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানের নিকট চার্টার প্রদান করা হয়েছে। বাকি ১১টি গাবতলী থেকে ওয়াইজঘাট এবং নারায়ণগঞ্জ থেকে টঙ্গি রুটে চলাচল করছে। সেগুলোর মধ্য থেকে চারটি ওয়াটারবাস সদরঘাট ও কেরানিগঞ্জের মধ্যে বুড়িগঙ্গা নদী পারাপারে ব্যবহৃত হবে।
পরে প্রতিমন্ত্রী মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত ন্যাশনাল মেরিটাইম ইনস্টিটিউটের উন্নয়ন, আর্থিক ও প্রশাসনিক বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন।