জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য অমর্যাদা করার প্রতিবাদে সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামীলীগের আয়োজনে বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা বলেন, ‘বিশ্বের সকল ইসলামী দেশে তাদের বাদশা বা অন্য কোন নান্দনিক ভাস্কর্য রয়েছে। ৭১-এর পরাজিত শত্রু পাকিস্তানদের দোসর ও ৭৫-এর খুনীরা বাংলাদেশকে পিছিয়ে দিতে এই ধরনের পৈশাচিক ধ্বংসাত্মক অপকর্মে লিপ্ত হয়েছে।

৭ ডিসেম্বর সাতক্ষীরা মুক্ত দিবসে আমাদের অঙ্গিকার, সাতক্ষীরায় এধরনের কোন অপশক্তিকে আমরা মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে দেবনা। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য অমর্যাদাকারীদেরকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে প্রতিহত করতে হবে।

জামায়াত বিএনপি বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে কোন ইস্যু না পেয়ে নিজেরাই আগুন লাগিয়ে এবং ভাংচুর করে দেশকে অশান্ত করার অপতৎপরতায় লিপ্ত হয়েছে। যারা ইসলামের অপব্যাখ্যা দিয়ে ধর্মকে সাধারণ মানুষের কাছে কুলষিত করার অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে কঠিন শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আহবান জানান বক্তারা।’

সোমবার বেলা ১১টায় সাতক্ষীরা শহিদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কে জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাবেক এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা মুনসুর আহমেদের সভাপতিত্বে বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মো. নজরুল ইসলাম।

সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক দপ্তর সম্পাদক শেখ হারুন উর রশীদের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক অধ্যক্ষ আবু আহমেদ, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ফিরোজ আহমেদ, সাবেক আইন বিষয়ক সম্পাদক এড. ওসমান গণি, সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি এসএম শওকত হোসেন, কেন্দ্রীয় যুবলীগের সহ সম্পাদক জি.এম ওয়াহিদ পারভেজ, সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শেখ আব্দুর রশিদ, পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি শেখ নাসেরুল হক, সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন, জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এড. ফরিদা আক্তার বানু, জেলা শ্রমিকলীগের সভাপতি ছাইফুল করিম সাবু, জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক জহরুল ইসলাম নান্টু প্রমুখ।

এসময় উপস্থিত ছিলেন কলারোয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সাতক্ষীরা জেলা পরিষদ সদস্য ও কলারোয়া পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদপ্রার্থী আলহাজ্ব শেখ আমজাদ হোসেন, জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান সৈয়দ আমিনুর রহমান বাবু, জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদিকা লায়লা পারভীন সেঁজুতি, জেলা পরিষদের সদস্য মাহফুজা রুবি, এড. আজহারুল ইসলাম, এড. অনিত মুখার্জী, ডা. মুনসুর আহমেদ, এড. জিয়ারুর রহমান বাচ্চু, শিমুল শামস্, সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান নাছিম, আব্দুল্লাহ সরদার, মঞ্জুর হোসেন, সদর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মিজানুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মইনুল ইসলাম, সাবেক ছাত্রনেতা এজাজ আহমেদ স্বপন,জেলা তাতী লীগের সভাপতি কাজী মারুফ,সাধারণ সম্পাদক শেখ আলমগীর হোসেন, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রেজাউল ইসলাম রেজাসহ জেলা আওয়ামীলীগসহ অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।





০ মন্তব্য

আরও পোস্ট পড়ুন

মতামত দিন