পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের মিডিয়া এন্ড পাবলিক রিলেশন্স উইং পরিচালিত বাংলাদেশ পুলিশের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে এক নারী তার স্বামী মোঃ নাজমুল হাসানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন নারীর সাথে ভার্চুয়ালি সম্পর্ক গড়ে তুলে প্রতারনামূলকভা‌বে বিবাহ ক‌রা ও তাদের সাথে অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ছবি তুলে তা ফেসবু‌কে ছ‌ড়ি‌য়ে দেয়ার হুম‌কি দি‌য়ে টাকা-পয়সা ও স্বর্ণালন্কার হাতিয়ে নেয়ার বিষ‌য়ে অভিযোগ করেন। তি‌নি উ‌ল্লেখ ক‌রেন, তার স্বামী কর্তৃক এভাবে অনেক মেয়ে প্রতারিত হয়েছে। কিন্তু লোকলজ্জায় কেউ তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি বলে তিনি জানান।

পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স থেকে অভিযোগটি তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ডিএমপি’র শ্যামপুর মডেল থানার ওসিকে নির্দেশ দেয়া হয়। শ্যামপুর থানা পু‌লিশ তাৎক্ষ‌নিকভা‌বে ওই নারীর সা‌থে যোগা‌যোগ ক‌রে। পরবর্তী‌তে থানায় ওই নারীর লি‌খিত অ‌ভি‌যো‌গের প্রে‌ক্ষি‌তে শ্যামপুর মডেল থানার ওসি মফিজুল আলম এবং এসআই দেবকুমার আচার্য্যের নেতৃত্বে একটি টিম গঠন করা হয়। অ‌ভি‌যো‌গের প্রাথ‌মিক সত্যতা সা‌পে‌ক্ষে উক্ত টিম তথ্য প্রযু‌ক্তি ও নানা গো‌য়েন্দা কৌশল অবলম্বন ক‌রে অভিযুক্ত মোঃ নাজমুল হাসানকে গ্রেপ্তারের জন্য বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালায়। কিন্তু, চতুর আসামি বারবার তার অবস্থান পরিবর্তন করতে থা‌কে। পুলিশও তার পিছু ছাড়েনি। অবশেষে ১৬ ফেব্রুয়া‌রি ২০২১ খ্রিঃ ভোররা‌তে সিরাজগঞ্জ জেলার সদর থানার পৌর এলাকাধীন সয়াধানবাড়ি এলাকা থেকে আসামিকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় পুলিশ।

আসামিকে গ্রেফতারের পর জিজ্ঞাসাবাদকালে সে ভার্চুয়াল রিলেশনের মাধ্যমে বি‌ভিন্ন মে‌য়ের সা‌থে প্রতারনামূলক অ‌বৈধ সম্পর্ক স্থাপনসহ ই‌তোম‌ধ্যেই প্রতারনামূলক কৌশল অবলম্বন ক‌রে তিনটি বিয়ে করেছে বলে স্বীকার করে। সিরাজগঞ্জের যে স্থান থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে সেখানেও সে এক নারীর সা‌থে সম্পর্ক স্থাপন করেছে বলে স্বীকার করে।তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।





০ মন্তব্য

আরও পোস্ট পড়ুন

মতামত দিন