আশাশুনিতে ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের তাণ্ডবে নদীতে জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পেয়ে পাউবোর ২০টি পয়েন্টে বেড়িবাঁধ ভেঙে কয়েকটি গ্রাম সহ মৎস্য ঘের প্লাবিত হয়েছে। এছাড়া অসংখ্য জায়গায় ভেরিবাঁধ ওভারফ্লো হয়ে ভেতরে পানি প্রবেশ করেছে। বুধবার সকাল থেকে নদীতে ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাব পড়তে থাকে। দুপুর ১২টার দিকে কুড়িকাহনিয়া লঞ্চঘাটের দক্ষিণ পাশে খোলপেটুয়া নদীর বেড়িবাঁধ ওভারফ্লো হয়ে ভেতরে পানি প্রবেশ করে। কিছুসময়ের মধ্যেই সেখানে বেড়িবাঁধ ভেঙে এলাকা প্লাবিত হয়। এছাড়া প্ররতাপ নগর ইউনিয়নে হরিখালী, চাকলা, কল্যাণপুর, রুইয়ার বিল, আনুলিয়া ইউনিয়নের নাকনা সহ ৬টি পয়েন্ট বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে এবং নদীর পানি বিভিন্ন জায়গা ওভারফ্লো হয়ে কুড়িকাহুনিয়া, চাকলা,সুভদ্রকাটি, রুয়ের বিল, হরিশ খালি, সোনাতনকাটি, নাকনা গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এছাড়া আশাশুনি সদর ইউনিয়নের বলাবাড়ীয়া, মানিকখালী, শ্রীউলা ইউনিয়নের হাজরাখালি, খাজরা ইউনিয়নের গদাইপুর, বড়দল ইউনিয়নের কেয়ারগাতি সহ কয়েকটি জায়গায় ভেড়িবাঁধ ভেঙ্গে ও বেড়িবাঁধ ওভারফ্লো হয়ে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। স্থানীয়রা জানিয়েছে রাতের জোয়ারে খোলপেটুয়া নদীতে আবারো জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পেয়ে মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে ছাপিয়ে আবারো প্লাবিত হতে পারে। আশাশুনি উপজেলা নির্বাহি অফিসার মোঃ নাজমুল হুসাইন খাঁন বলেন কয়েকটি পয়েন্টে ভেড়িবাঁধ ভেঙে এবং ওভারফ্লো হয়ে কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। আমরা উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কাজ করছি দ্রুত সময়ের মধ্যে সে সব স্থানগুলো সংস্কার করা হবে। পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্মকর্তা (এসও) আলমগীর হোসেন জানান কুড়িকাহনিয়া, চাকলা, রুইয়ার বিল সহ কয়েকটি স্থানে ভেড়িবাঁধ ভেঙ্গে ও ওভারফ্লু হয়ে কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে আমরা দ্রুত সময়ে সেগুলো সংস্কারের কাজ করছি।





০ মন্তব্য

আরও পোস্ট পড়ুন

মতামত দিন