তালা উপজেলাধীন তালা সরকারি কলেজে প্রেম সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে ছাত্রলীগ কর্মী তনময় নির্যাতনের ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত এবং তালা উপজেলা ছাত্রলীগের বহিস্কৃত সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ আকিব কে গ্রেপ্তার করেছে তালা থানা পুলিশ।

গতকাল রাতসাড়ে  ৮ টার দিকে তালা থানার অফিসার ইনচার্জ আবু জিহাদ ফকরুল আলম খানের নেতৃত্বাধীন একটি চৌকশ টিম ও সাতক্ষীরা জেলা ডিবির ওসি বাবুল আক্তারের নেতৃত্বাধীন টিম যৌথ গতকাল রাতে ডুমুরিয়া বাজারে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করতে সক্ষম হয় বলে জানা গেছে।

আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে তালা থানার ওসি জিহাদ খান জানান,আটকৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছে। বিস্তারিত পরে প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে সাংবাদিক দের জানানো জবে।

প্রাসংঙ্গত : প্রেম সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে সাতক্ষীরার তালায় কলেজ ছাত্রকে ডেকে এনে মারপিট ও মাথা ন্যাড়া করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগ ও শ্রমিক লীগের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। রোববার বিকেলে তালা সরকারি কলেজ ছাত্রাবাসে এ ঘটনা ঘটে। এঘটনায় সোমবার তালা থানায় একটি মামলা রেকর্ড করা হয়েছে।

নির্যাতনের শিকার কলেজ ছাত্র শোয়েব আজিজ তন্ময় (২০) তালা সদরের জাতপুর গ্রামের শেখ আজিজুর রহমানের ছেলে। সে চলতি বছর জাতপুর টেকনিক্যাল কলেজ থেকে এইচএসসিতে গোল্ডেন ‘এ প্লাস’ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে। বর্তমানে বিশ^বিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য খুলনায় কোচিং করছে তন্ময়।

এ ঘটনায় জড়িতরা হলেন, তালার মাঝিয়াড়া গ্রামের সৈয়দ ইদ্রিসের ছেলে উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ আকিব (২৫), হরিশচন্দ্রকাটি গ্রামের গণেশ চক্রবর্তীর ছেলে উপজেলা শ্রমিকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সৌমিত্র চক্রবর্তী (৩২), তালা গার্লস স্কুলের পেছনের বাসিন্দা ছাত্রলীগ কর্মী জে.আর সুমন (২৫), তালার মহান্দি গ্রামের ছাত্রলীগ কর্মী জয় (২৪) ও তালা সদরের নজির শেখের ছেলে ছাত্রলীগ কর্মী নাহিদ হাসান উৎস (২৪)।

কলেজছাত্র তন্ময়ের বাবা আজিজুর রহমান জানান, আমার ছেলের সাথে ওদের কোন বিরোধ নেই। একসঙ্গে পড়েও না। আকষ্মিক রোববার দুপুর একটার দিকে আমার ছেলের পূর্ব পরিচিত নাহিদ হাসান উৎস্য নামের একটি ছেলে মোবাইল ফোনে ডেকে নিয়ে যায় তালা কলেজের সামনে। সেখান থেকে ছেলে তন্ময়কে ধরে নিয়ে যায় কলেজের মধ্যে একটি রুমে। সেখানে নিয়ে মারপিট, মাথা ন্যাড়া করে দেওয়া ও উলঙ্গ করে ভিডিও ধারণ করে। তারপর আমার স্ত্রীর কাছে ফোন করে ছেলেকে মারপিটের চিৎকার শোনাচ্ছিল তারা। পরে আমার ভাইপোরা যেয়ে তাকে উদ্ধার করে।

তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, ছাত্রলীগের নেতা আকিবের সাথে একটি মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। সম্প্রতি আকিবের সাথে সেই সম্পর্ক ভেঙে যায়। নতুন করে সম্পর্ক গড়ে উঠে তন্ময়ের সাথে। তন্ময়ের ওপর প্রতিশোধ নিতে আকিব তাকে নাহিদের মাধ্যমে ডেকে এনে মারপিট ও মাথা টাক করে দেয়।

ঘটনার মুল অভিযুক্ত আকিবের সেল ফোন বন্ধ থাকায় তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।





০ মন্তব্য

আরও পোস্ট পড়ুন

মতামত দিন