সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক এস এম মোস্তফা কামাল বড়দল স্বপ্ন পল্লীর উপকারভোগীদের বলেছেন-
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সদিচ্ছায় আপনারা বসবাসের ঘর পেয়েছেন। এখানে সবাই মিলেমিশে শান্তিতে থাকতে হবে। সোনারবাংলা স্বপ্ন পল্লীর সকল সদস্যকে সন্ধ্যার পরে পড়ালেখা শিখতে হবে। কেউ যেন এখানে নিরক্ষর না থাকে সেজন্যে আমরা ব্যবস্থা নেব। আপনাদের সাবলম্বী করে তুলতে আমরা সরকারি ভাবে নানা ধরনের প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা করব। সেই প্রশিক্ষণকে কাজে লাগিয়ে সাবলম্বী হতে কাজগুলো আপনাদেরই করতে হবে। মঙ্গলবার সকালে আশাশুনির বড়দল ইউনিয়নের নির্মাণাধীন সোনার বাংলা স্বপ্ন পল্লীর উপকারভোগীদের মাঝে শীত বস্ত্র বিতরণ, নলকূপ স্থাপন ও উঠান বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান অসীম বরণ চক্রবর্তী পরিচালনায় তিনি আরো বলেন, এখানে স্যাটেলাইট ক্লিনিক চালু হবে যাতে সবাই প্রাথমিক চিকিৎসাসেবা পায়। সুপেয় পানির জন্য গভীর নলকূপ স্থাপন, পুকুর খনন করে মিষ্টি পানির জলাধার তৈরীসহ রেইন ওয়াটার হার্ভেষ্টিং এর ব্যবস্থা করে স্বপ্ন পলীর বাসিন্দাদের সুপেয় পানির অভাব পূরণ করা হবে। মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর থেকে সেলাই প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে, যাতে নারীরা সাবলম্বী হতে পারে। সমবায় সমিতি করে দেওয়া হবে, সবাই সরকারি ত্রাণের মুখাপেক্ষী না হয়ে প্রশিক্ষনের সুযোগ সুবিধা কাজে লাগিয়ে স্বনির্ভর হয়ে উঠবেন। আগামী ৬ মাসের মধ্যে সোনার বাংলার স্বপ্ন পলীর নিরক্ষর সদস্যরা যাতে স্বাক্ষর জ্ঞান সম্পন্ন হয়ে ওঠে সেদিকে দৃষ্টি দিতে তিনি সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন। এছাড়া করোনা ঝুঁকি মোকাবেলায় সবাই স্বাস্থ্যবার্তা মেনে চলবেন এবং বাইরে জনসমাগমস্থলে গেলে অবশ্যই মাস্ক পরে থাকবেন।
অনুষ্ঠান শেষে তিনি নামফলক স্থাপন করে স্বপ্ন পল্লীতে বৃক্ষ রোপন উদ্বোধন করেন এবং শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করেন এবং উপজেলা পরিষদের লেডিস ক্লাব ও মরিচ্চাপ রিভারভিউ কেওড়া পার্ক পরিদর্শন করেন। এসময় উপজেলার সকল কর্মকর্তা, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।