কারো অর্থবিত্ত দেখে আওয়ামী লীগে কোনো পদ-পদবি দেওয়া যাবে না : তথ্যমন্ত্রী

দ্বারা zime
০ মন্তব্য 423 দর্শন

 

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, কারো অর্থবিত্ত দেখে আওয়ামী লীগে কোনো পদ-পদবি দেওয়া যাবে না। অমুকের পয়সা আছে, দল চালাতে সুবিধা হবে, এই বিবেচনায় কাউকে পদ দেওয়া যাবে না। এটি আমাদের দলের রাজনীতি ও আদর্শ নয়।

শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে আওয়ামী লীগ পাবনা জেলা শাখার তৃণমূল প্রতিনিধি সভায় প্রধান বক্তার বক্তব্যে দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, পরপর তিনবার ক্ষমতায় থাকার কারণে দলের মধ্যে অনেক সুবিধাবাদী ও অনুপ্রবেশকারী ঢুকেছে। যারা একসময় আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে কাজ করেছে এবং নেতাকর্মীদের নির্যাতন করেছে, তারা এখন এ সংগঠনের মধ্যে ঢুকে পড়েছে। যারা অনুপ্রবেশকারী, সুবিধাভোগের জন্য দল করছেন তাদের চিহ্নিত করে পদ থেকে সরিয়ে দিতে হবে। দল ও আদর্শের প্রতি নিষ্ঠা এবং নেত্রীর প্রতি একাগ্রতাই হবে দলীয় পদ পাওয়ার ক্ষেত্রে যোগ্যতা।

পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি রেজাউল রহিম লালের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুখ প্রিন্স এমপির সঞ্চালনায় প্রতিনিধি সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য সাবেক মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। বিশেষ অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন।

হাছান মাহমুদ বলেন, আজকে আওয়ামী লীগ পরপর তিনবার রাষ্ট্র ক্ষমতায়। এই কৃতিত্ব বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার। তিনি সমস্ত প্রতিকূলতা ও প্রতিবন্ধকতার মধ্যে স্থির থেকে সমস্যা মোকাবিলা করে ১৯৮১ সালের ১৭ মে বাংলাদেশে পদার্পণ করেন। এরপর বঙ্গবন্ধুহীন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে মায়ের মমতায়, বোনের স্নেহে লালন করে বারবার মৃত্যু উপত্যকা থেকে ফিরে এসেছেন। আরো প্রত্যয়ী হয়ে আওয়ামী লীগকে নেতৃত্ব দিয়ে বাংলাদেশের মানুষের ভোট এবং ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছেন। এবং আওয়ামী লীগকে চারবার রাষ্ট্র ক্ষমতায় নিয়ে গেছেন।

দলের তরুণ নেতাকর্মীদের বিনয়ী হওয়ার অনুরোধ জানিয়ে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ক্ষমতায় থাকলে বিনয়ী হতে হয়। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ আজ বদলে গেছে। যেই ছেলে দশবছর আগে বিদেশ গেছে সে দেশে এসে তার শহর চিনতে পারছেনা, গ্রামও চিনেনা। কিন্তু এত উন্নয়নের মধ্যেও যখন আমাদের কর্মীরা উদ্যত আচরণ করে তখন মানুষ বিরক্ত হয়। আমরা কেউ যেন উদ্যত আচরণ না করি। কারো উদ্যত আচরণ ও অপকর্মের দায় দল কখনো নেবেনা। তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা সাবেক প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু, নুরুল ইসলাম ঠান্ডু, প্রফেসর মেরিনা জাহান কবিতা, বেগম আখতার জাহান উপস্থিত ছিলেন।
পাবনা: তথ্যমন্ত্রী ড. হাসান মাহমুদ বলেছেন-

এর আগে সকালে পাবনা সার্কিট হাউজে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তথ্যমন্ত্রী ড. হাসান মাহমুদ বলেন, বিএনপি মানুষের মধ্যে দ্বিধা আকাঙ্ক্ষা সৃষ্টি করেছে, যার ফলে ১০-১৫ শতাংশ ভোট কম পড়েছে। সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ১৯ নয় ৩০ শতাংশের বেশি ভোট পড়েছে। বিএনপি ভোটের অংকে ভুল করেছে।

তিনি বলেন, সম্প্রতি অনুষ্ঠিত ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচন সুন্দর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে। কোথাও কোন অপ্রীতিকর পরিবেশ সুষ্ঠি হয়নি। অনেক উন্নত দেশের তুলনায় ভালো ভোট হয়েছে। ইভিএম এ ভোট কারচুপির সুযোগ নাই। কম ভোট পড়ার ক্ষেত্রে বিএনপি অনেকাংশে দায়ী।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর কারণে সারাবিশ্বে সংবাদ মাধ্যমগুলোকে প্রতিযোগিতা করতে হয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো বন্ধ করার জন্য নয় নিয়ম নীতির মধ্যে আনার কাজ চলছে। বর্তমানে কিছু বিজ্ঞাপন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলে যাচ্ছে। এ ব্যাপারে করের আওতায় আনার জন্য কাজ কাজ চলছে।

তথ্যমন্ত্রী আরো বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের কথায় মনে হয়, কোনো প্রাইভেট কোম্পানির টাকা সরকারের ঘরে যাচ্ছে। অর্থ ব্যবস্থাপক নিয়ম নীতির মধ্যে আনার জন্য যে সব সরকারি সংস্থায় অতিরিক্ত টাকা অর্থাৎ যে সব টাকা প্রয়োজন হয় না, সে সব টাকা নেওয়া হবে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ নাসিম এমপি, সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন, পাবনা-৫ আসনের সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক প্রিন্স, পাবনা-২ আসনের সংসদ সদস্য আহম্মেদ ফিরোজ কবির, স্কয়ার ট্রয়লেট্রিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালন অঞ্জন চৌধুরী পিন্টু, পাবনা জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রেজাউল রহিম লাল, পাবনা জেলা প্রশাসক কবীর মাহমুদ, পুলিশ সুপার শেখ রফিকুল ইসলাম জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শিবলী সাদিক প্রমুখ।





০ মন্তব্য

আরও পোস্ট পড়ুন

মতামত দিন