মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি সংরক্ষণে কাজ করছে সরকার ; আ ক ম মোজাম্মেল হক

দ্বারা zime
০ মন্তব্য 161 দর্শন

 

খুলনা জেলার কপিলমুনি মুক্ত দিবসের আলোচনা সভায় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি সংরক্ষণে কাজ করছে সরকার। বর্তমান শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি সংরক্ষণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সারাদেশের ন্যায় কপিলমুনি যুদ্ধের স্মৃতি সংরক্ষণে বিশেষ প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। কপিলমুনিতে মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি কমপ্লেক্স নির্মাণ প্রকল্পে ইতোমধ্যে দুই কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। সেখানে আধুনিক মিলনায়তন, পাঠাগার ও পর্যটনের সুব্যবস্থার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। বীরঙ্গনা গুরুদাসি মাসির রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির গেজেট প্রকাশ করা হবে। এছাড়া কপিলমুনি হাসপাতালের আধুনিকায়ন, কপিলমুনিকে পৌরসভায় উন্নীতকরণ ও সড়ক সংস্কারসহ মহাত্মা রায় সাহেব বিনোদ বিহারী সাধু প্রতিষ্ঠিত কপিলমুনির ইতিহাস-ঐতিহ্য সংরক্ষণ ও উন্নয়নে সমন্বিত কর্মপরিকল্পনা গ্রহণের আশ্বাস দেন মন্ত্রী।

বুধবার কপিলমুনি সহচরী বিদ্যালয় মাঠ প্রাঙ্গণে বিকাল ৪.৩০ মিনিটে কপিলমুনি মুক্ত দিবসের আলোচনা সভা খুলনা জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সাদিকুর রহমানের সভাপত্বিতে ও সুন্দরবন উপকূল সুরক্ষা আন্দোলনের সমন্বয়ক ও জাতীয় দৈনিক কালের কন্ঠের স্টাফ রিপোর্টার নিখিল ভদ্র ও পাইকগাছা উপজেলা আঃলীগের যুগ্ন-সাধারণ সম্পাদক আনন্দ মোহন বিশ্বাসের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় উপস্থিত ছিলেন, খুলনা-৬, পাইকগাছা-কয়রা আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব আক্তারুজ্জামান বাবু, জনপ্রশাসন সচিব শেখ ইউসুফ হারুন ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সচিব তপন কান্তি ঘোষ, খুলনা বিভাগীয় কমিশনার ড. আনোয়ার হোসেন, পুলিশ সুপার এস এম শফিউল্লাহ, পাইকগাছা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ার ইকবাল মন্টু, নির্বাহী কর্মকর্তা এবিএম খালিদ হোসেন সিদ্দিকী, সহকারী কমিশনার ভূমি এসিল্যান্ড আরাফাতুল আলম, পৌর মেয়র সেলিম জাহাঙ্গীর, থানা অফিসার ইনচার্জ এজাজ শফী, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার শেখ শাহাদাৎ হোসেন বাচ্চু, খুলনা জেলা পরিষদ সদস্য শেখ কামরুল হাসান টিপু, কপিলমুনি ইউপি চেয়ারম্যান কওছার আলী জোয়ার্দ্দার, অধ্যক্ষ হাবিবুল্ল্যাহ বাহার, প্রধান শিক্ষক কবির আহমেদ, রহিমা আক্তার শম্পা, সমীরণ সাধু, যুগোল কিশোর দে, কাজল কান্তি বিশ্বাস ও স্বেচ্ছাসেবক উপ-কমিটির আহবায়ক শেখ ইকবাল হোসেন খোকন প্রমুখ। এছাড়া মন্ত্রী কপিলমুনি বধ্যভূমিতে পুষ্পার্ঘ অর্পণ, মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি কমপ্লেক্স ও জাদুঘরের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন শেষে পার্শ্ববর্তী মাহমুদকাটি অনির্বাণ লাইব্রেরি পরিদর্শন করেন। এসময় সেখানে মুক্তিযুদ্ধে শহীদ পরিবারের সদস্যদের সাথে মতবিনিময় করেন।





০ মন্তব্য

আরও পোস্ট পড়ুন

মতামত দিন