বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সেতু (থেগামুখ) বাস্তবায়নের কাজ সরেজমিনে পরিদর্শনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

দ্বারা zime
০ মন্তব্য 445 দর্শন

 

 

দেশের মোট আয়তনের এক-দশমাংশ এলাকা নিয়ে গঠিত পার্বত্য চট্টগ্রামের অরক্ষিত সীমান্ত সুরক্ষাসহ অত্রাঞ্চলে বসবাসরত প্রার্ন্তিক জনগোষ্ঠির জীবনমানোন্নয়নে নিরাপদ যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নয়নে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের মাধ্যমে বাস্তবায়িত হওয়া সীমান্ত সড়কের একাংশ (রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান পার্বত্য জেলা) সড়ক প্রকল্প এবং থেগামুখ স্থলবন্দর ও বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সেতু (থেগামুখ) বাস্তবায়নের কাজ সরেজমিনে পরিদর্শনে উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল নিয়ে রাঙামাটি সফর করে গেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মোঃ আসাদুজ্জামান খান কামাল।

মঙ্গলবার বেলা ২ টা ৫ মিনিটের সময় ছোটহরিণা ব্যাটালিয়ন (১২বিজিবি) এর দায়িত্বপূর্ণ থেগামুখ বিওপিতে আগমন করেন বলে বিওপি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন।
এসময় মন্ত্রীর সফর সঙ্গী ছিলেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোস্তফা কামাল উদ্দিন, বাংলাদেশ পুলিশ প্রধান ইন্সপেক্টর জেনারেল (আইজিপি) ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী, বিপিএম(বার), বিজিবি’র ডিজি মে:জে: মোঃ সাফিনুল ইসলাম, র‌্যাবের মহাপরিচালক ড.বেনজীর আহমেদ বিপিএম (বার),পিপিএম(বার),বিজিবিএম (বার)এনডিসি-পিএসসি, আনসার ব্যাটালিয়ানের ডিজি মে:জে: কাজী শরীফ কায়কোবাদ, চট্রগ্রাম রেঞ্জের ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল খন্দকার গোলাম ফারুক,     এনডিসি,পিএসসি-জি, সহ অন্তত
১৯ জন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এসময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হিসেবে অংশগ্রহণ করেন।

উক্ত পরিদর্শনের সময় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ ২৬ইসিবি’র কর্তব্যরত মেজর সাখাওয়াত, ২৬ ইসিবি প্রস্তাবিত সীমান্ত সড়ক বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে ব্রিফিং প্রদান করেন।
এর আগে ১০ মার্চ সকাল ১১ ঘটিকায় হেলিকপ্টার যোগে ঢাকা থেকে সাজেক আগমন করেন পরে সাজেক হতে সড়ক পথে শিজক ছড়া নামক স্থান এবং দাড়িয়া পাড়া নামক স্থানে সেনাবাহিনী কর্তৃক নব-নির্মিত সড়ক পরির্দশন শেষে দুপুর ২ ঘটিকায় হেলিযোগে বরকলের উদ্দেশ্যে রওনা করেন।
জানা গেছে, তিন পার্বত্য জেলা রাঙ্গামাটি খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান জেলায় ভারত ও মিয়ানমারের সঙ্গে ৫৪০ কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে। বিস্তীর্ণ সীমান্ত এলাকাটি সম্পূর্ণ সুরক্ষিত না থাকার সুযোগে চোরাচালান, অবৈধ অস্ত্র ও মাদক পাচারের ঘটনা ঘটাচ্ছে দুস্কৃতিকারীরা। তাই সীমান্ত সুরক্ষার পাশাপাশি যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন করে বিস্তীর্ণ বনজ সম্পদ রক্ষা ও পর্যটন শিল্প বিকাশের জন্য ১১শ কিলোমিটার সীমান্ত সড়ক নির্মাণের পদক্ষেপ নেয় সরকার। তন্মধ্যে ৩১৭ কিলোমিটার সীমান্ত সড়ক নির্মাণের লক্ষ্যে ১৬৯৯ কোটি ৮৪লক্ষ ৯২ হাজার টাকা ব্যয়ে‘সীমান্ত সড়ক (রাঙামাটি,খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান পার্বত্য জেলা) নির্মাণ প্রকল্প ১ম পর্যায়’ শীর্ষক প্রকল্প হাতে নেয় সরকার। ২০১৮ সালের ২০ মার্চ প্রকল্পটির অনুমোদন দেয় জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। ২০২১ সালের ৩০ জুনের মধ্যে ১ম পর্যায়ের একাজ সম্পন্ন করার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে।


প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের সূত্রে প্রাপ্ত তথ্যে জানাগেছে, রাঙামাটি জেলার জুরাছড়ি, বরকল ও রাজস্থলী উপজেলা, খাগড়াছড়ি জেলার বাঘাইছড়ি, বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি এবং কক্সবাজার জেলার উখিয়া উপজেলায় প্রথম পর্যায়ের প্রকল্প বাস্তবায়ন হবে।





০ মন্তব্য

আরও পোস্ট পড়ুন

মতামত দিন