মানবতার ফেরিওয়ালা এসডিএফ চেয়ারম্যান আবদুস সামাদ

দ্বারা zime
০ মন্তব্য 521 দর্শন

 

মানবতার ফেরিওয়ালা সাবেক নৌপরিবহন মন্ত্রনালয়ের সিনিয়র সচিব ও এসডিএফ চেয়ারম্যান মো: আবদুস সামাদ।

আমরা তাঁকে চিনি ২০০৯ সাল থেকে। ২০০৯ সাল থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক হিসাবে তিনি যেসব মানবিক কার্যক্রম গুলো করে গেছেন, তা আজও সাতক্ষীরা বাসী স্মরণ রেখেছেন। সাতক্ষীরার প্রত্যেকটি প্রাকৃতিক দূর্যোগে তিনি গরীবদূখী মানুষের পাসে ছিলেন মানবতার ফেরিওয়ালা হিসাবে।পরে ২০১৪ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত তিনি খুলনা বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার হিসাবে সুনাম ও দক্ষতার সহিত দায়িত্ব পালন করেন। তিনি খুলনা বিভাগের দশটি জেলার শতশত ভিক্ষুকদের কর্মসংস্থান করে দিয়েছেন। ভিক্ষুকদের দোকান করে দিতেন তিনি,ভিক্ষুকদের ভ্যান কিনে দিতেন, ভিক্ষুক দের গরু ছাগল ও কিনে দিতেন তিনি। এছাড়াও খুলনা বিভাগের দশটি জেলার জেলা প্রশাসক গণের মাধ্যমে তিনি ভিক্ষুকদের নগত টাকা, রোযার ঈদে ইফতার সামগ্রী, ঈদের পোষাক, কোরবানীর ঈদে ভিক্ষুকদের জন্য গরু কোরবানীর ব্যবস্থা করতেন তিনি। শুধু তাই নয় ভিক্ষুকদের জন্য বসবাস করার বাড়িও তিনি তৈরি করে দিয়েছেন। তাঁর মানবিক গুণাবলি র কথা লিখে শেষ করা যাবেনা। আর উন্নয়নের কথা বলতে গেলে সাতক্ষীরা শ্যামনগরে ইকে টুরিজ্যম সেন্টার,দেবহাটার মানগ্রপ রুপশী পার্ক,বাঁকালের ডিসি ইকো পার্ক সহ খুলনা বিভাগের দশটি জেলায় তিনি শিশুদের বিনোদনের জন্য ডিসি ইকোপার্ক তৈরি করে গেছেন। তাঁর রেখে যাওয়া অসংখ্য প্রকল্পের মাধ্যমে এখনো সাতক্ষীরা সহ খুলনা বিভাগের দশ জেলার মানুষ উপকার পাচ্ছেন।

পরে ২০১৭ সালে তিনি নৌ-পরিবহন সচিব পদে পদোন্নতি পান।সেখানে গিয়েও থেমে নেই তাঁর মানবিক কার্যক্রম। তিনি নৌপরিবহন মন্ত্রনালয়ে যোগদানের পর ঢাকা বুড়িগঙ্গা তীর দখল মুক্ত হয়েছে, হয়েছে যানজট মুক্ত।দেশের নদী গুলো তাঁর চেষ্টায় নতুন জীবন ফিরে পেয়েছিলো। স্থল বন্দর থেকে শুরু করে নৌপরিবহন মন্ত্রনালয়ের সব কয়টি সেক্টরে লেগেছিলো উন্নয়নের ছোয়া।পরে তিনি অবসরে চলে যান।

পরে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর কর্মদক্ষতায় মুগ্ধ হয়ে ২০২০সালের  ৮ জুন সোমবার  রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের উপ-সচিব  মুর্শেদা জামান সাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে আবদুস সামাদ কে এসডিএফ এর চেয়ারম্যন হিসাবে নিয়োগ দেন।

এসডিএফ এর চেয়ারম্যান হয়েও তিনি বসে নেই। সেই আগের মতই মানবিক কাজ গুলি করে যাচ্ছেন তাঁর নিজের জেলা শেরপুর সহ দেশের ৬৪ টি জেলায়।

 

তারই ধারাবাহিকতায় ৩০ জানুয়ারি ২০২১ তারিখ সকালে তিনি শেরপুর জেলা সমিতি ঢাকার উদ্যোগে শ্রীবরদীর রানী শিমুলের  বালিজুড়ীতে ৫০০ শতাধিক অসহায় ও দুু:স্থ্য মানুষদের মাঝে শীতবস্ত্র  বিতরণ করেন।পরে একই দিন দুপুরে শেরপুর জেলা সমিতি ঢাকার উদ্যোগে নকলার ধনাকুশা উচ্চবিদ্যালয়ের মাঠে তিনি শীতবস্ত্র বিতরণ।

উক্ত শীত বস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে সড়ক পরিবহণ ও সেতু মন্ত্রনালয়ের সচিব মো: নজরুল ইসলাম সহ শেরপুরের জেলা প্রশাসক নাকলার নির্বাহী অফিসার ও শেরপুর জেলা সমিতি ঢাকার অন্যান্য নেতৃৃৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। তাঁর সহযোগীতা পেয়ে শীতার্ত মানুষগুলোর মধ্যে  উষ্ণতা ফিরেছে।

প্রাসংঙ্গত:  আব্দুস সামাদ ফারুক ১৯৬১ সালে শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলায় জন্ম গ্রহণ করেন। তিনি ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এগ্রিকালচার ইঞ্জিনিয়ারিং’এ বিএসসি ডিগ্রি অর্জন করেন এবং পরবর্তীতে মার্কেটিং’এ এমবিএ করেন। বিভিন্ন সময়ে দেশ ও বিদেশে প্রশিক্ষণ ওয়ার্কশপ, মিটিং ও সেমিনার উপলক্ষে বিশ্বের বহু দেশ ভ্রমণ করেছেন। ১৯৮৯ সালে জাইকার উদ্যোগে ইউথ ডেলিগেশন নিয়ে জাপান সফর তাদের অন্যতম।

পেশাগত পরিচিতির বাইরে তিনি একজন কবি। তাঁর লেখা একাধিক কবিতার বই প্রকাশিত হয়েছে। এদের মধ্যে  শিশিরে জীবন কল্লোল, শুভ্র সমুজ্জ্বল,  ঘাস ফড়িংয়ের জোৎস্না স্নান উল্লেখযোগ্য। মুক্তিযুদ্ধ নিয়েও তিনি গবেষণা করেছেন। শেরপুরের শহীদ মুক্তিযোদ্ধা নাজমুলের উপর তাঁর লেখা জল জোছনায় নাজমুল বহুল প্রশংসিত একটি মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক জীবনী গ্রন্থ।

মো. আবদুস সামাদ তাঁর কর্মজীবন শুরু করেন ১৯৮৬ সালে, পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের এজিএম হিসেবে। তিনি ১৯৮৮ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ে সহকারী সচিব পদে যোগ দেন। তিনি ১৯৯১ হতে ১৯৯৭ পর্যন্ত স্থানীয় সরকার বিভাগে সহকারী সচিব ও সিনিয়র সহকারী সচিব পদে নিয়োজিত ছিলেন।

তিনি ১৯৯৭ সাল হতে ১৯৯৯ পর্যন্ত সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলায় এবং ১৯৯৯ হতে ২০০১ পর্যন্ত সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ছিলেন।

২০০৩ হতে ২০০৬ পর্যন্ত তিনি নেত্রকোনা জেলায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে ২০০৬ হতে ২০০৮ পর্যন্ত পরিবেশ অধিদফতরের পরিচালক পদে নিয়োজিত ছিলেন।

তিনি ২০০৯ সালে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর একান্ত সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০০৯-২০১১ সালে তিনি সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক ছিলেন। ২০১২ সালে তিনি রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এবং ২০১৪ সালে খুলনার বিভাগীয় কমিশনার নিযুক্ত হন। পরে ২০১৭ সালে তিনি নৌ-পরিবহন সচিব পদে পদোন্নতি পান।

এছাড়াও উল্লেখ্য তিনি জামালপুর ও শেরপুর জেলার অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ সাবেক স্বরাষ্ট্র উপমন্ত্রী, মৎস, কৃষি, বন ও পশু সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী প্রফেসর আব্দুস সালাম তার ভাগ্নী জামাই।

তিনি এসডিএফ’এর পদে নিয়োগ পাওয়ায় চাকুরি জীবনে তার সহকর্মী, শুভাকাঙ্ক্ষী বন্ধু,আত্নীয়-স্বজন,
নালিতাবাড়িসহ বহত্তর ময়মনসিংহ সমিতির সদস্যবৃন্দরা অনেক খুশি ও আনন্দিত হয়ে তাকে অভিনন্দন জানিয়ে তার সুস্বাস্থ্য এবং কর্মময়জীবনের সাফল্য কামনা করেছেন।





০ মন্তব্য

আরও পোস্ট পড়ুন

মতামত দিন