পাহাড়ের আইন-শৃংঙ্খলা পরিস্থিতি বজায় রাখতে পুলিশ ও বিজিবির সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে : স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী।।

দ্বারা zime
০ মন্তব্য 260 দর্শন

 

সরকারের কাছে ভুল স্বীকার করে আবেদন করলে পাহাড়ের সন্ত্রাসীদের পুনর্বাসন করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। পাহাড়ের আইন-শৃংঙ্খলা পরিস্থিতি বজায় রাখতে পুলিশ ও বিজিবির সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন মন্ত্রী।

বুধবার দুপুরে খাগড়াছড়ির রামগড় সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে রামগড় থানার নবনির্মিত ভবন উদ্বোধনকালে এক সমাবেশে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান এ সব কথা বলেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘পাহাড়ে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে কাজ করছে সরকার। সরকারের সঙ্গে সঙ্গে এ দেশের জনগণও সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ ও দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেয় না। পাহাড়ের আইন-শৃংঙ্খলা পরিস্থিতি বজায় রাখতে পুলিশ ও বিজিবির সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে।’

আসাদুজ্জামান খাঁন বলেন, ‘পাহাড়ে যারা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করছেন তারা যদি ভুল স্বীকার করে সরকারের কাছে আবেদন করেন তাহলে সরকার তাদের পুনর্বাসনে সবকিছু করবে। সরকার ইতোমধ্যে ৬৩০ জন চরমপন্থী সন্ত্রাসীর আবেদনের প্রেক্ষিতে তাদের পুনর্বাসন করেছে।’

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আহমার উজ্জামান। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সৈয়দ মোহাম্মদ ফরহাদের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন উপজাতীয় শরণার্থী ট্রাস্কফোর্সের চেয়ারম্যান কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি, সংরক্ষিত মহিলা সংসদ সদস্য বাসন্তি চাকমা, বাংলাদেশ পুলিশের কর্ণাধার, সম্মানিত ইন্সপেক্টর জেনারেল (আইজিপি) ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী, বিপিএম (বার), র‌্যাব এর মহাপরিচালক জনাব ড. বেনজীর আহমেদ, বিপিএম (বার), স্পেশাল ব্রাঞ্চ এর অতিরিক্ত আইজিপি মীর শহীদুল ইসলাম, বিপিএম (বার), চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি জনাব খন্দকার গোলাম ফারুক, বিপিএম (বার), পিপিএম।পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুক, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরী, জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস, রামগড় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বিশ্ব ত্রিপুরা, পৌর মেয়র মোহাম্মদ শাহজাহান প্রমুখ।

এসময় আগত অতিথিবৃন্দদেরকে রাঙ্গামাটি জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলার সুযোগ্য পুলিশ সুপার জনাব মোঃ আলমগীর কবীর, পিপিএম-সেবা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) জনাব মোঃ ছুফি উল্লাহ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) জনাব মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ( কাপ্তাই সার্কেল) জনাব মোঃ জুনায়েত কাউছার।

পরে জেলা পুলিশের চৌকস পুলিশ সদস্যরা গার্ড অব অনার প্রদান করেন।

এর আগে মন্ত্রী গণপূর্ত বিভাগের বাস্তবায়নে ৭ কোটি ৩৫ লাখ ২৭ হাজার টাকা ব্যয়ে নির্মিত রামগড় থানা-কাম-ব্যারাক ভবন উদ্বোধন করেন। তিনি নতুন ভবনের কয়েকটি কক্ষও ঘুরে দেখেন।





০ মন্তব্য

আরও পোস্ট পড়ুন

মতামত দিন